এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২০ আগস্ট : আজ বুধবার সকালে দিল্লিতে নিজের সরকারি বাসভবনে জনশুনানির সময় আক্রান্ত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা (Rekha Gupta)। বছর ৩৫ এর এক যুবক নিজের সমস্যার কথা বলার অছিলায় মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলা চালায় । সে মুখ্যমন্ত্রীকে চড় মারার পাশাপাশি চুল টেনে ধরে । সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে ধরে ফেলে এবং বেদম পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় । পুলিশ হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে । তবে হামলার উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয় । আক্রমণকারীর পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে । দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় এই ঘটনার বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে,’আজ একটি জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার উপর এক ব্যক্তি আক্রমণ করেছে। অভিযুক্তকে দিল্লি সিভিল লাইনস পুলিশ স্টেশন গ্রেপ্তার করেছে এবং আরও তদন্ত চলছে।’ তবে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে যে ধৃত যুবকের নাম রাজেশ খিমজি( Rajesh Khimji) । সে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদিম পার্টির সমর্থক ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত অঞ্জলি নামে এক মহিলা বলেন, “এটা ঠিক হয়নি । সবারই জনশুনানির অধিকার আছে। যদি কোনও চদ্মবেশ ধরে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলা চালায় তাহলে এটা অনেক বড় ব্যাপার… আমি সেখানে ছিলাম… লোকটি কথা বলছিল এবং হঠাৎ সে চড় মারল। পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেছে । পাশাপাশি পিটিয়েছে ।’
বিজেপির দিল্লি ইউনিটের প্রধান বীরেন্দ্র সচদেব মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার উপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন,’আক্রমণকারীর বয়স ৩৫ বছর। সে জনশুনানির সময় মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু নথিপত্র দিয়েছিল । এর পরে, যখন তর্ক শুরু হয়, তখন সে হঠাৎ আক্রমণ করার চেষ্টা করেন।’ তিনি আক্রমণকারীকে কোনও রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত বলে সন্দেহ করেছেন। দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান দেবেন্দ্র যাদব এই হামলার নিন্দা করে ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি দিল্লির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন,’মুখ্যমন্ত্রী যদি নিরাপদ না থাকেন, তাহলে জাতীয় রাজধানীতে একজন সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকবে?’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুন মাসে মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তকে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়েছিল। দিল্লি পুলিশের ১১২ হেল্পলাইনে হুমকি ফোনটি এসেছিল। এর পরে, গাজিয়াবাদ থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।।