এইদিন ওয়েবডেস্ক,জয়পুর,১৫ আগস্ট : অঞ্জুর পর এবার একই পথের পথিক হলেন রাজস্থানের দুঙ্গারপুর জেলার দীপিকা পতিদার নামে এক হিন্দু গৃহবধূ । স্বামীর অনুপস্থিতির সূযোগে ১১ ও ৭ বছরের দুই মেয়েকে ফেলে মুসলিম প্রেমিকের সাথে কুয়েতে পালিয়ে গেলেন ওই মহিলা । শুধু তাইই নয়, পালানোর সময় বাড়িতে রাখা নগদ টাকা ও যাবতীয় গহনাও বগলদাবা করেছেন তিনি । দুঙ্গারপুর জেলার চিত্রি থানার ভামাই গ্রামের বাসিন্দা দীপিকার স্বামী মুকেশ পতিদার এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন । তবে এখনো পর্যন্ত মহিলার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি ।
চিত্রি থানার ইনচার্জ গোবিন্দ সিং বলেছেন, ‘মুকেশ পতিদার রিপোর্টে বলেছেন যে তার স্ত্রী দীপিকা গত ৭ জুলাই চিকিৎসা করাতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গুজরাট গিয়েছিল এবং সেখান থেকেই তার স্ত্রী নিখোঁজ হন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি ।’
এদিকে ইতিমধ্যে, মহিলার কিছু ছবি সামনে এসেছে । সেই ছবিতে দীপিকাকে এক যুবকের সাথে বোরখা পরা অবস্থায় দেখা গেছে । দ্বিতীয় একটি ছবিতে তাকে শাড়ি পরে দেখা গেছে । অনুমান করা হচ্ছে যে পলাতক মহিলা বর্তমানে কুয়েতে রয়েছেন । এদিকে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়ে গেছে জল্পনা । এলাকার একাংশের মানুষ একে লাভ জিহাদের ঘটনা বলে অবিহিত করছেন ।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে,ভামাই গ্রামের বাসিন্দা মুকেশ পতিদার কর্মসূত্রে মুম্বাইয়ে থাকেন । দুই নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন তার স্ত্রী দীপিকা পতিদার । স্বামীর অনুপস্থিতিতে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার নাম করে ওই মহিলা প্রায়ই গুজরাট ও উদয়পুরে যেতেন । গত ১০ জুলাই তিনি অসুস্থ বলে দাবি করেন এবং চিকিৎসার জন্য গুজরাটে যান কিন্তু ১৩ জুলাই পর্যন্ত তিন বাড়ি ফিরে আসেননি । পরে অজ্ঞাত স্থান থেকে দীপিকা তার স্বামীকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে বলেন,’তুমি আমার প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলে, তাই আমি তোমার কাছ থেকে দূরে চলে এসেছি ।’ একথা শুনে মুম্বাই থেকে তাড়াহুড়ো করে বাড়ি ফিরে আসেন মুকেশ এবং বাড়িতে এসে তিনি দেখতে পান তার স্ত্রী নিখোঁজ। বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তিনি দেখতে পান লক্ষাধিক টাকার গয়না ও নগদ টাকা গায়েব হয়ে গেছে । এরপর থানায় নিখোঁজ ডাইরি দায়ের করেন স্বামী ।।
তথ্যসূত্র ও ছবি : সৌজন্যে ভিটিভি গুজরাটি ।