এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১৬ ডিসেম্বর : আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের অফিস থেকে এক্স-এ লেখা হয়েছিল, ‘মাদকের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে, আমাদের তিনমুখী কৌশলের অধীনে পদক্ষেপ নিতে হবে ।’ কি কি পদক্ষেপ তা বলাও হয় । অমিত শাহের এই টুইটের অব্যবহিত পরেই খবর আসছে যে এবার মাদক পাচার সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬ হাজার বিদেশিকে ভারত থেকে বহিষ্কার করা হবে । সরকারি সূত্রে খবর, শীঘ্রই এই বিদেশিদের নিজেদের দেশে পাঠাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ যেসব দেশের নাগরিকদের বহিষ্কারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ফিলিপিন্স, মায়ানমার, মালয়েশিয়া, ঘানা এবং নাইজেরিয়া।
এর আগে অমিত শাহের অফিস থেকে এই বিষয়ে পরপর দুটি টুইট করা হয় । প্রথম টুইটে লেখা হয়, ‘মাদকের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে, আমাদের তিনমুখী কৌশলের অধীনে পদক্ষেপ নিতে হবে। মাদকের সরবরাহ শৃঙ্খলে আমাদের একটি কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি, চাহিদা হ্রাসের জন্য একটি কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং ক্ষতি হ্রাসের জন্য একটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত। অ্যান্টিফকে (ANTF) এই তিনটি পদ্ধতি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহজি ।’
দ্বিতীয় টুইটে অমিত শাহকে কোট করে লেখা হয়েছে, ‘ইউপিএ সরকারের আমলে ৪০ হাজার কোটি টাকার মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, যেখানে এনডিএ সরকারের আমলে গত ১০ বছরে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যা একটি বিশাল অর্জন। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পরিসংখ্যান তৈরি করা নয়। আমাদের লক্ষ্য এমন একটি ভারত তৈরি করা যেখানে পরিসংখ্যান তৈরি করার প্রয়োজন নেই। এটি উপর থেকে নীচে এবং নীচে থেকে উপরে পদ্ধতির মাধ্যমে সম্ভব হবে ৷’
দেশজুড়ে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রকে নির্মুল করতে এটিকে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় অভিযানগুলির মধ্যে একটি বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে,নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে মাদক পাচার থেকে শুরু করে পরিবহন পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি রয়েছেন এই বিদেশিরা। ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে এই অপরাধীদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। এরপর নতুন অভিবাসন আইনের মাধ্যমে এদের ভারতছাড়া করা হবে।’।