এইদিন ওয়েবডেস্ক,জলপাইগুড়ি,২৮ আগস্ট : জলপাইগুড়ির চা বাগানের একটা নালা থেকে বছর সতেরোর এক কিশোরীর পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । নিখোঁজ হওয়ার ৯ দিন পর মঙ্গলবার ঘোষপুকুর ফাঁড়ি এলাকার গয়াগঙ্গা চা বাগানের শ্রমিকরা চা পাতা তুলতে গিয়ে একটা নালার মধ্যে একটা বড় বালির বস্তা চাপা দেওয়া ওই কিশোরীর দেহ দেখতে পায় । খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় । আজ বুধবার কিশোরীর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় । এই ঘটনায় মৃতের কাকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে,ধৃতের নাম রাকেশ খেস । জেলা পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ জানিয়েছেন,ধৃত নিজের অপরাধ কবুল করে জানিয়েছে যে একটা দড়ি দিয়ে মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহটি গয়াগঙ্গা চা বাগানের নালায় ফেলে দিয়ে আসে । পরিবারের সন্দেহ, তাদের মেয়েকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে । পুলিশ সুপার জানিয়েছেন,মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে ।
জানা গেছে,নিহত কিশোরী নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করত । গত ১৮ আগস্ট হঠাৎ সে নিখোঁজ হয়ে যায় । পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে মেয়েটির কোনো সন্ধান না পেয়ে ঘোষপুকুর ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরি করে । পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ জানিয়েছেন, আমরা শারিরীক ভাবে এবং ড্রোনের সাহায্যেও চা বাগানে অনেক তল্লাশি চালাই । পরে মঙ্গলবার স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে গয়া গঙ্গার চা বাগানের একটা নালা থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে আনা হয় ।
জানা গেছে,চা বাগানের শ্রমিকরা পাতা তোলার সময় কিশোরীর মৃতদেহটি বালির বস্তা চাপা অবস্থায় প্রথমে দেখে । পুলিশ সুপার বলেন,’অকুস্থল থেকে ফরেন্সিক দল কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছে । এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত আছে কিনা জানতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।’ যদি জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান । এদিকে কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুনী চিকিৎসককে নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তোলপাড়ের মাঝে জলপাইগুড়ির ওই কিশোরীর খুনের ঘটনায় রাজ্যে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে দিল ।।