এইদিন ওয়েবডেস্ক,২৮ নভেম্বর : কানাডা প্রবাসী অভিনেতা-গায়ক গিপ্পি গ্রেওয়ালের বাড়িতে হামলা হয়েছে। তার বাড়ির বাইরে গুলি চালানো হয় এবং গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এই হামলার দায় স্বীকার করে। বিষ্ণোই ফেসবুকে লিখেছেন যে ‘এই হামলা সুপারস্টার সালমান খানের জন্য একটি বার্তা ছিল’ কারণ গিপ্পি তাকে তার ভাই হিসাবে বিবেচনা করে ।’
পাশাপাশি বিষ্ণোই সালমানকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, ‘তোমার একটা ধারণা আছে যে দাউদ ইব্রাহিম তোমাকে সাহায্য করবে। কেউ তোমাকে আমাদের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না। সিধু মুজওয়ালার মৃত্যুতে তোমার নাটকীয় প্রতিক্রিয়া নজরে পড়েনি । আমরা সবাই জানি সে কী ধরনের ব্যক্তি এবং তার অপরাধমূলক সংযোগের কথা । এখন তুমিও আমাদের রাডারে আছ । এটি একটি ট্রেলার বিবেচনা করবে, শিগগিরই পুরো সিনেমাটি মুক্তি পাবে । তুমি যে কোনো দেশে পালিয়ে যাও, কিন্তু মনে রাখবে যে মৃত্যুর জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় না। সে বিনা আমন্ত্রণে আসে।’
এদিকে বিষ্ণোইয়ের এই মন্তব্যের পর গিপ্পি গ্রেওয়াল এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন,’সালমান খানের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব নেই। তার সাথে আমার একবার বা দুবার দেখা হয়েছে। এর মধ্যে একবার আমি যখন ‘মৌজান হি মৌজান’ ছবির প্রচারে গিয়েছিলাম তখন সালমানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। ‘মৌজান হি মৌজান’ ছবিটিকে সমর্থনকারী প্রযোজক সালমান খানকে ট্রেলার লঞ্চের জন্য ডেকেছিলেন। আমি সেখানে তার সাথে দেখা করেছি। এর আগে ‘বিগ বস’-এর সেটে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সালমান খানের সঙ্গে আমার কোনো বন্ধুত্ব নেই এবং তার অকারণ ক্ষোভ থেকে আমার ওপর নিশানা করা হচ্ছে । আমার সাথে যা হয়েছে তা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না।’
গায়ক আরও বলেন,আমার বাড়ি পশ্চিম ভ্যাঙ্কুভারে, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে। তখন দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টা। এই ঘটনায় আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম কারণ আমি আগে কখনো কোনো বিতর্কের মুখোমুখি হইনি । আমার কখনো কারোর সাথে শত্রুতা ছিল না । তাই হামলার পেছনে কারা থাকতে পারে তা ভাবতেও পারিনি। হামলার পর লরেন্স বিষ্ণোই গিপ্পিকে লিখেছিলেন, ‘সালমান খান কো বহুত ভাই-ভাই করতা হ্যায়, বোল আব বাঁচায়ে তুজে তেরা ভাই’।।