এইদিন ওয়েবডেস্ক,ক্যালিফোর্নিয়া,১৫ ফেব্রুয়ারী : আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজেদের বিলাসবহুল ফ্লাট থেকে যমজ বাচ্চাসহ ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । মৃতরা হলেন আনন্দ সুজিত হেনরি, তার স্ত্রী এলিস প্রিয়াংকা এবং তাদের ৪ বছরের যমজ সন্তান নোয়া ও নিথান । ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে ধন্দ্বে পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, আনন্দ ও এলিস দম্পতিকে বাথরুমে একটি পিস্তল এবং একটি লোড করা ম্যাগাজিনের পাশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। আর তাদের যমজ বাচ্চাদের মৃতদেহ শোবার ঘরে পড়ে ছিল।নিহত আনন্দের পরিবারের এক আত্মীয় ফোন করে তাদের কাউকে না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তাদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
পুলিশ কর্মকর্তারা ফ্লাটে আসার পর কোন সাড়াশব্দ পায়নি। তারা সারা বাড়ি তল্লাশি চালায় কিন্তু জোর করে ফ্লাটে প্রবেশ করার কোন চিহ্ন দেখতে পায়নি। একটি খোলা জানালা দিয়ে পুলিশ ঘরে ঢোকে আর চারজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।তথ্য বলছে, ২০২০ সালে ওই দম্পতি ২.১ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ফ্লাটটি কিনেছিলেন।তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ এই ঘটনাকে হত্যা ও আত্মহত্যার ঘটনা বলে চিহ্নিত করলেও তাদের মৃত্যুর পেছনে অন্য কোন কারণকে উড়িয়ে দেয়নি।
সান মাতেও পুলিশ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,তথ্য-এর ওপর ভিত্তি করে এই ঘটনাটিকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। এই ঘটনায় জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ আমাদের মনে হচ্ছে, এটি নিজেদের মধ্যে হত্যা বা আত্মহত্যার ঘটনা। এবং তাদের নিজেরাই কেউ দায়ী। হয়ত কেউ কাউকে হত্যা করে পরে আত্মহত্যা করেছে।
ওই পরিবারটি মূলত কেরালার বাসিন্দা , গত ৯ বছর ধরে তারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিল। আনন্দ, একজন সফ্টওয়্যার প্রকৌশলী এবং অ্যালিস একজন সিনিয়র বিশ্লেষক। দুই বছর আগে নিউজার্সি থেকে সান মাতেও কাউন্টিতে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন তারা। পরিবারটি বন্ধুত্বপূর্ণ, পরিশ্রমী এবং সন্তানদের প্রতি যত্নশীল ছিল। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল তাদের।
তবে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আনন্দ বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু আদালতে তাদের বিচ্ছেদ হয়নি। সান মাতেও কাউন্টির অপরাধ তদন্ত ব্যুরো (সিআইবি) ও সান মাতেও কাউন্টি অপরাধ ল্যাব যৌথভাবে মামলাটির তদন্ত করছে।।