এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৪ জুলাই : শহর এলাকা ঘিঞ্জি । এমন অনেক গলি রয়েছে যেখানে রিক্সা বা টোটো ঢুকলেও চারচাকা গাড়ি ঢোকে না । ফলে মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় রোগীর আত্মীয়দের । এদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কিত সব মহল । তাই এলাকার রোগীদের সুবিধার্থে একটি ‘টোটো অ্যাম্বুলেন্স’ তৈরি করিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া পুরসভার হাতে তুলে দিলেন জনৈক আনজাম হোসেন ওরফে ডেভিড মিঞা নামে এক ব্যক্তি । টোটোটিতে অ্যাম্বুলেন্সের মত সুবিধাযুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে ৷ ফাইবার গ্লাস দিয়ে ঘেরা টোটোয় রয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার, স্ট্রেচার প্রভৃতির ব্যবস্থা । এই ‘টোটো আ্যম্বুলেন্স’-এর পরিসেবা পেতে মোবাইল নম্বর দেওয়া থাকবে বলে পুরসভা সুত্রে জানা গেছে । ওই ব্যক্তির অভিনব এই উদ্যোগে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা ।
কাটোয়া শহরের বাগানেপাড়ার বাড়ি ডেভিড মিঞার । বাড়িতে রয়েছেন তিন ভাই বাবা মা, স্ত্রী, সন্তান । বনেদি পরিবার । পরোপকারী বলে এলাকায় সুখ্যাতি আছে ডেভিডের । তিনি বলেন, ‘কাটোয়া শহর এলাকায় রয়েছে অনেক অপরিসর গলিঘুঁচি । অ্যাম্বুলেন্স ঢোকে না । করোনার দুটো ঢেউয়ের সময় দেখেছি হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়ে রোগীর পরিবারকে কি রকম সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে । তাই টোটোকে অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধাযুক্ত করে গড়ে তোলার চিন্তা আমার মাথায় এসেছিল । ঠিক করেছিলাম ওই রকম একটা টোটো তৈরি করে পুরসভার হাতে তুলে দেব । এদিন শনিবার ওই রকম একটি টোটো তৈরি করিয়ে পুরসভাকে দিলাম ।’ তিনি জানিয়েছে,এই ‘টোটো অ্যাম্বুলেন্সটি তৈরি করতে ৯৮ হাজার ৬৫৩ টাকা খরচ হয়েছে ।
ডেডিড মিঞার এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কাটোয়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপারসন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় । তিনি বলেন, ‘ওই বিশেষ ধরনের টোটো তৈরি করে পুরসভাকে দেওয়ার জন্য কিছুদিন আগে প্রস্তাব দিয়েছিলেন আনজাম হোসেন নামে ওই ব্যক্তি । ওই প্রস্তাব আমরা গ্রহন করেছি । টোটোটি আ্যম্বুলেন্স পরিসেবার মতন কাজে লাগানো হবে । কোভিড পরিস্থিতিতে খুবই কাজে লাগবে টোটোটি ।’।