এইদিন ওয়েবডেস্ক,২২ ফেব্রুয়ারী : মাদ্রাসা দারুল উলূম দেওবন্দ একটি ফতোয়া জারি করে গজবা-ই-হিন্দকে বৈধতা দিয়েছে বলে অভিযোগ । উর্দু ভাষায় লেখা ফতোয়াটি দেওবন্দের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে । ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (সিপিসিআর) এর চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্কা কানুনগো ওয়েবসাইটের লিংক সহ একটি চিঠি লিখে সাহারানপুর জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেছেন । চিঠির তারিখ দেওয়া আছে ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ । উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর (Saharanpur) জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে লেখা ওই চিঠির বিষয়বস্তুতে লেখা হয়েছে, ‘মাদ্রাসা দারুল উলূম দেওবন্দ-এর ওয়েবসাইটে ফতোয়া আকারে প্রকাশিত আপত্তিকর বিষয়বস্তু সম্পর্কীয় ।’ চিঠিতে বলা হয়েছে,’কমিশন দারুল উলূম দেওবন্দ মাদ্রাসার ওয়েবসাইটে আরেকটি আপত্তিকর বিষয়বস্তু পেয়েছে। উর্দুতে লেখা ফতোয়াতে লেখা হয়েছে যারা ভারতে গজবা-ই-হিন্দে করতে গিয়ে শহীদ হবে তারা হবেন মহান শহীদ। কমিশন বলেছে, ‘মাদ্রাসা দারুল উলূম দেওবন্দ, হল ইসলামি শিক্ষার একটি একাডেমিক সংস্থা এবং দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে মাদ্রাসাগুলির এর অধিভুক্ত।
বলা হয়েছে,’এ ধরনের ফতোয়া দিয়ে শিশুদের সামনে নিজের দেশের বিরুদ্ধে ঘৃণা তুলে ধরছে । এতে পরিশেষে তাদের অপ্রয়োজনীয় মানসিক বা শারীরিক কষ্টের কারণ। জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট ২০১৫ এর ৭৫ ধারার লঙ্ঘন ।’
সিপিসিআর-এর চেয়ারপার্সনের প্রদত্ত লিঙ্কে দেখা গেছে উর্দুতে লেখা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ভারতে গজবা-ই-হিন্দের বিষয়ে বলা হয়েছে । উল্লিখিত ৯৬০৪ নম্বর প্রশ্নটি হল,’হাদীসে কি ভারত আক্রমণের কথা বলা আছে ? যিনি শহীদ হবেন, তিনি কি মহান শহীদ? আর যে গাজী হবে সে হবে জনতি। অনুগ্রহপূর্বক জবাব দিবেন ।’
এর উত্তরে বলা হয়েছে,’পরম করুণাময় আল্লাহর নামে ফতোয়াঃ ৬৫=৬২/ খ ।’ এরপর কোনো একটি ধর্মীয় পুস্তকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘একইভাবে ভারত আক্রমণের ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।’
সিপিসিআর চেয়ারপার্সনের চিঠিটি পোস্ট করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মুখপত্র পাঞ্চজন্য লিখেছে,’বড় খবর ! মাদ্রাসা দারুল উলূম দেওবন্দ কর্তৃক জারিকৃত ফতোয়া গজবা-ই- হিন্দকে বৈধতা প্রদান করে। দারুল উলূম দেওবন্দ একটি মাদ্রাসা হওয়ার পাশাপাশি দেশের সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা পরিচালনাকারী ইসলামী প্রতিষ্ঠান। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে এ সংক্রান্ত মাদ্রাসা পরিচালিত হয় যেখানে লাখ লাখ শিশু পড়াশোনা করে। দারুল উলূম দেওবন্দ তার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে গাজওয়া-ই-হিন্দকে বৈধ বলে একটি ফতোয়া জারি করেছে। লেখা হয়েছে গজবা-ই-হিন্দে যারা শহীদ হবে তারা হবেন মহান শহীদ।এটি একটি দেশবিরোধী ফতোয়া যা ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে বৈধতা দেয়। এনসিপিসিআর সভাপতি পাপ্রিয়াঙ্ক কানুনগো সাহারানপুরের ডিএম এবং এসপিকে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করার জন্য একটি চিঠি লিখেছেন ।’।