এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওয়াশিংটন,১৩ অক্টোবর : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA) ঘোষণা করেছে যে একটি গ্রহাণুর সাথে তার মহাকাশযানের পরীক্ষামূলক সংঘর্ষের ফলে গ্রহাণুটি তার প্রাকৃতিক পথ পরিবর্তন করেছে । মানুষের দ্বারা কোনো গ্রহাণুর কক্ষপথ পরিবর্তন করার ঘটনা এটাই প্রথম । নাসা প্রশাসক বিল নেলসন মঙ্গলবার বলেছেন,’এটি পৃথিবী এবং মানবতার প্রতিরক্ষার জন্য একটি বিজয়ী মুহূর্ত ।’
গত মাসে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যা পরীক্ষাগারে পৃথিবী থেকে ১০.৯ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে ওই গ্রহাণুকে দেখা যায় । ডিম্বাকৃতির ওই গ্রহাণুর নাম ডিমারফোস (Dimorphos) । গ্রহাণুটি প্রতি ১১ ঘন্টা ৫৫ মিনিটে একবার ডিডাইমস (Didymos) নামে একটি অভিভাবক গ্রহাণুকে প্রদক্ষিণ করে । প্রায় একটি ফুটবল স্টেডিয়ামের আকৃতির ডিমারফোস গ্রহাণুটি । যদিও পৃথিবীর জন্য কোনো বিপদের কারণ ছিল না সেটি । কিন্তু ভবিষ্যতে পৃথিবীর সুরক্ষার স্বার্থে “ডুয়াল অ্যাস্টেরয়েড ডিফ্লেকশন টেস্ট” বা “ডার্ট” মিশনটি (DARTmission) শুরু করে নাসা । ৩৩০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এবং সাত বছরের গবেষণায় ডুয়াল অ্যাস্টেরয়েড ডিফ্লেকশন টেস্ট স্যাটেলাইটটি তৈরি করা হয় । গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওই স্যাটেলাইটটি ডিমারফোসের উপর প্রবল বেগে আছড়ে পড়ে বিস্ফোরিত হয় । নাসার বিজ্ঞানীদের মতে,গত দুই সপ্তাহে জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিমাপ দেখা গেছে যে গ্রহাণুটি অবিভাবক গ্রহাণুর কিছুটা কাছাকাছি চলে এসেছে এবং এর কক্ষপথের সময়কাল ৩২ মিনিট কম হয়েছে ।।