এইদিন ওয়েবডেস্ক,চেন্নাই,২৫ আগস্ট : ভারতের বহু রাজ্যে এখনো জাতপাত নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হিন্দুরা । যে দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে ব্রিটিশরা দুই শতাব্দী দেশ শাসন করেছে,সেই বিরোধকে ফের চাগিয়ে তুলে স্বাধীন ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছে । অথচ সবকিছু দেখে শুনেও নিজেদের ব্যবহার করতে দিচ্ছে তারা ! এবারে তামিলনাড়ু থেকে এমনই একটা ঘটনা সামনে এসেছে । উচ্চবর্ণের হিন্দুদের বিরোধিতায় গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতির পদে শপথ নিতে পারছেন না একজন নির্বাচিত দলিত মহিলা প্রতিনিধি । তামিলনাড়ুর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইন্ধুমাথি পান্ডিয়ান নামে এক দলিত মহিলা জিতেছেন প্রায় তিন বছর হয়ে গেছে ৷ কিন্তু তিনি এখনও তিরুপত্তুর জেলার নয়াকানেরি গ্রামের পঞ্চায়েতের সভাপতি হিসেবে শপথ নিতে পারছেন না । ক্ষুব্ধ উচ্চবর্ণের হিন্দুরা ইন্দুমাথির নির্বাচন এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতির পদ একজন তফশিলি জাতি (SC) মহিলার জন্য সংরক্ষিত করার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে৷
যদিও ২৬ বছর বয়সী ওই দলিত মহিলা ইন্দুমাথি হাল ছাড়েননি এখনো । প্রায় তিন বছর ধরে, তিনি উচ্চবর্ণের হিন্দুদের সাথে আইনি ও সামাজিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টকে বলেছেন,’আমি যা করতে চেয়েছিলাম তা হল তাদের উপলব্ধি করা যে সবাই সমান । একটি নির্দিষ্ট বর্ণে জন্মগ্রহণ করা অপরাধ নয় । যদি এক দশকও লাগে, আমি লড়াই চালিয়ে যাব।’ সকলের চোখ এখন মাদ্রাজ হাইকোর্টের দিকে যেখানে একজন প্রাক্তন পঞ্চায়েত সভাপতি তার নির্বাচনের বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন। গত ২০ আগস্ট সব পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষ হয়ে, ইন্দুমাঠি এখন রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন । ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর অন্যতম সংগঠন তামিলনাড়ু অস্পৃশ্যতা নির্মূল ফ্রন্ট (TNUEF) ওই দলিত মহিলার পক্ষে আদালতে আইনি লড়াই লড়ছে ।।