এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,০৭ ডিসেম্বর : উত্তরপ্রদেশে ফের “লাভ জিহাদ”-এর ঘটনা সামনে এসেছে। এবারে ১৮ বছরের এক দলিত মেয়েকে অপহরণের পর জবরদস্তি ধর্মান্তরিত করার পর নিকাহ করতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে শোয়েব নামে এক মুসলিম ব্যক্তির বিরুদ্ধে । অর্গানাইজ উইকলির প্রতিবেদন অনুযায়ী,তরুনীকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল এবং তাকে গরুর মাংস খেতে বাধ্য করা হয়েছিল । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হারদোই জেলার সুরসা থানা এলাকার একটি গ্রামে ।
প্রতিবেদনে জানা গেছে,নির্যাতিতার বাবা হরিয়ানার সোনিপত জেলায় একটি কারখানায় কাজ করে পরিবার চালান । চলতি বছরের ১৭ জুন ফিরোজাবাদের বাসিন্দা শোয়েব ও তার পরিবারের লোকজন মিলে সোনিপত থেকে মেয়েটিকে অপহরণ করে । পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েটির কোনো সন্ধান পায়নি । এরপর ৩ ডিসেম্বর মেয়েটি কোনোভাবে সেখান থেকে পালিয়ে আসে । মেয়েটি হারদোইতে নিজের গ্রামে ফিরে এসে তার মাসির বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয় । ফিরে এসে নির্যাতিতা পরিবারকে জানায় যে অপরাধী তাকে ফিরোজাবাদে নিয়ে গিয়েছিল, যেখানে তাকে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে এবং গরুর মাংস খেতে বাধ্য করা হয়েছিল । পরবর্তীকালে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়, এবং অপরাধী শোয়েব এবং তার পুরো পরিবার মিলে তার উপর শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন চালায় ।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, তরুনীকে দেখতে না পেয়ে শোয়েব ও তার পরিবার এতটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠে যে পরিবারের মহিলা ও পুরুষরা দলবেঁধে নির্যাতিতার মাসির বাড়িতে চড়াও হয় । মেয়েটিকে তারা বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । তখন উভয় পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় । তারই মাঝে গ্রামের কেউ ১১২ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে খবর দেয় এবং পুলিশকে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য অনুরোধ জানায় । পুলিশ এসে তিনজনকে পাকড়াও করলেও বাকিরা চম্পট দেয় ।
নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শোয়েব, নাজমা খান, আকিব, রেশমা ও মেহরাজসহ অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি এফ আই আর রজু করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা এবং তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন, এবং উত্তরপ্রদেশ আইন এগেইনস্ট রিলিজিয়াস কনভার্সন অ্যাক্ট-এ মামলা নথিভুক্ত করেছে । বর্তমানে তিন আসামি ইতিমধ্যেই পুলিশের হেফাজতে রয়েছে । বাকিদের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ ।।