এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,১০ মে : বাংলাদেশে তান্ডব করতে প্রবল গতিতে ছুটে যাচ্ছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় “মোখা’। এই ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার রাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মহম্মদ আজিজুর রহমান । তিনি বলেন, রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাত্রির মধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমার সীমান্তের উপকূল অতিক্রম করতে পারে এই ঘুর্ণিঝড় ।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন আন্দামান সাগরে সোমবার নিম্ন চাপের সৃষ্টি হয় । এরপর থেকে ক্রমশই ঘনীভূত হয়ে মঙ্গলবার রাতে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ‘মোখা’ । ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে,’মোখা’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে । ওই সময় ‘মোখা’র বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার।
আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী,বুধবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে মোখা অতি প্রবল আকার ধারণ করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে । বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ প্রবল ঘূর্ণিঝড় বা ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপ নিবে ‘মোখা’ । বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মহম্মদ আজিজুর রহমান বলেন,’উপকূলে আঘাত হানার আগে শুক্রবার থেকেই দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে ।’ এদিকে বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর । উত্তর ও গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ।
বাংলাদেশের আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি বুধবার সকাল ৬ টা নাগাদ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল । নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ছিল ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে ।।