জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,ব্যারাকপুর,০৫ সেপ্টেম্বর :ওরা কেউ মূক, কেউ বধির, কেউবা দৃষ্টিহীন। অতীতের সাদা-কালো সিনেমার মত ওদের জীবনটা বর্ণহীন। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য রঙিন পৃথিবীর রূপ, রস, গন্ধ থেকে ওরা বঞ্চিত। ওদের সবকিছুই ইশারার মাধ্যমে করতে হয়। তার মাঝেও ওরা খোঁজার চেষ্টা করে আনন্দের। পাশে পায় সাক্ষাৎ দেবদূত ব্যারাকপুরের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের স্বামী নিত্যরূপানন্দ মহারাজজীকে। মূলত তারই উদ্যোগে এবং নৃত্য শিক্ষিকা ছবি নাথ ও সঙ্গীত শিক্ষিকা কাজরী চ্যাটার্জ্জীর সহযোগিতায় ওই সমস্ত শিশু ও কিশোরীদের এক অসাধারণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকল ব্যারাকপুর বাসীদের একাংশ ।
গত ৪ ঠা সেপ্টেম্বর ছিল রাধাষ্টমী। মিশনের মহারাজজী চেয়েছিলেন তার প্রতিষ্ঠানের মেয়েরা আজকের দিনে একটু আনন্দ অনুষ্ঠান করুক। দুই শিক্ষিকাকে প্রস্তাব দিতেই, সময় কম থাকলেও, সঙ্গে সঙ্গে ওরা রাজী হয়ে যান। এতদিন সন্তান স্নেহে ওরাই ওদের তৈরি করেছে। অন্যান্য মহারাজদের তো বটেই পাশে পায় সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের।
তারপর ব্যারাকপুরের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের সূর্যপুর শাখার মূক, বধির ও দৃষ্টিহীন বালিকা বিদ্যালয়ের সাবানা খাতুন, রাখী হালদার, অন্তরা মিশ্র, রিমি দাস, রূপালী মন্ডল প্রমুখের নৃত্য এবং নীলিমা ঘরুই, দয়াময়ী ঘরুই, সানিয়া সুলতানা, সানিয়া খাতুন, ঝুমা ঘোষ, অদিতি গুপ্ত, রূপশ্রী বৈরাগ্য, শ্রুতি যাদব প্রমুখের সঙ্গীত পরিবেশন সবাইকে মুগ্ধ করে। উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের স্বামী নিত্যরূপানন্দ মহারাজজী সহ অন্যান্য মহারাজরা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীরা।
নিত্যরূপানন্দজী বললেন,’ওরা সমাজের বোঝা নয়, আমাদের সম্পদ- এটা ওরা বারবার প্রমাণ করেছে। এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। আশা করি আগামীদিনে ওরা আরও কৃতিত্ব প্রদর্শন করবে ।’।