শেখ মিলন,ভাতার(বর্ধমান),২৭ ফেব্রুয়ারী : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের মোহনপুর গ্রামের মহেশ্বর তলায় শিব চতুর্দশী উপলক্ষ্যে ভোলা মহেশ্বরের পূন্যস্নান ও মহামৃত্যুঞ্জয় যজ্ঞ ঘিরে পূণ্যার্থীদের ঢল নামল আজ বৃহস্পতিবার । ধর্মীয় রীতি মেনে মোহনপুর গ্রাম সহ আশপাশের বহু গ্রামের ভক্তরা দীর্ঘ প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে খড়ি নদী থেকে জল বয়ে এনে মহেশ্বর বাবার জলাভিষেক করেন । প্রচুর মহিলা পূণ্যার্থীদের মহাদেবের জলাভিষেকে অংশগ্রহণ করেন । মনস্কামনা পূরণের আশায় প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও কয়েক হাজার পূন্যার্থী এই জলাভিষেকে যাত্রায় অংশ নেন। ছিল ভোগের আয়োজনও । প্রসাদে ছিল লুচি, আলুর দম ও মিষ্টান্ন । ১৫ হাজারেরও অধিক ভোলেবাবার ভক্ত সেই প্রসাদ গ্রহণ করেন আজ ।
মোহনপুর গ্রামের মহেশ্বর বাবার পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানান ইতিহাস। এলাকাবাসীদের মতে, মোহনপুরের মহেশ্বর তলায় শতাধিক বছর পূর্বে একটি বটগাছের নিচে শিবলিঙ্গ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। প্রথমে মাটির তৈরির আটচালায় প্রতিষ্ঠা করে শুরু হয় পূজার্চনা। পরবর্তী সময়ে এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী নয়ন সামন্তের উদ্যোগে বেশ কয়েক বছর আগে শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয় । প্রতি বছর মহাশিবরাত্রির পরের দিন ভগবানের বাৎসরিক উৎসবের আয়োজন করা হয় । পূন্যার্থীদের সেবায় কোন খামতি রাখেন না সমাজসেবী নয়ন সামন্ত।
আজ সকাল থেকেই মহা মৃত্যুঞ্জয় যজ্ঞের ব্যবস্থা ছিল। এলাকার মানুষের মঙ্গল কামনায় দিনভর চলে এই মহাযজ্ঞ। শিব চতুর্দশী উপলক্ষ্যে এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে বস্ত্র বিতরণের আয়োজন করা হয়। কয়েকশো সহ নাগরিকদের হাতে নতুন পোশাক তুলে দেন সমাজসেবী নয়ন সামন্ত। নায়ন সামন্তের এই বৃহৎ কর্মকাণ্ডে খুশি এলাকার মানুষজন। এলাকাবাসীদের দাবি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মানুষের পাশে থাকার উদ্যোগ নিয়ে থাকেন নয়ন সামন্ত। দুর্গাপুজো, কালীপুজো, আদিবাসীদের বায়না পরব, মুসলিম সম্প্রদায়ের খুশির ঈদ উৎসবেও নিজেকে সামিল করেন নয়ন। তবে এদিনের শিব চতুর্দশী উপলক্ষ্যে নয়ন সামন্তের নানান ব্যবস্থাপনায় খুব খুশি ভক্তরা ।।