এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুম্বাই,০৯ আগস্ট : শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে জামাতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির(বিএনপির) জঙ্গিদের হিংসার শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের হিন্দুরা । প্রচুর হিন্দুর ঘরবাড়ি, দোকানপাট লুটপাট, ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে । ভাঙচুর বা আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বহু মন্দিরে । হিন্দু মেয়েরা ধর্ষণ বা গনধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । বহু হিন্দু মেয়ে অপহৃত হয়েছে এবং এখনো তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে বাংলাদেশের বিভিন্ন ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে । অথচ মুম্বাইয়ের ফ্লিম ইন্ডাস্ট্রি যথারীতি মুখে কুলুপ এঁটে আছে । গাজার রাফাহ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘অল আইজ অন রাফাহ’ ট্রেন্ড চালানো বলিউড অভিনেতা অভিনেত্রীরা বাংলাদেশের হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসা নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি । শুধুমাত্র প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডনকে ।
এদিকে বৃহস্পতিবার বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার হাজি আলি দরগাহ সংস্কারের জন্য ১.২১ কোটি টাকা দান করার পর থেকেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে নীরবতার জন্য অভিনেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন নেটিজেনরা । হাজি আলি দরগাহে মাথায় রুমাল বাঁধা অক্ষয় কুমারের একটা ছবি পোস্ট করে দ্য জয়পুর ডায়লগ লিখেছে,’আপনি কখনই বলিউডকে বিশ্বাস করতে পারবেন না! বাংলাদেশে প্রতিদন হিন্দুদের হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু বলিউড কী করছে? অক্ষয় কুমার হাজি আলি দরগা সংস্কার প্রকল্পের জন্য ১.২১1 কোটি টাকা দান করেছেন। হিন্দু বিদ্বেষ প্রচার করে এমন আদর্শের জন্য দান। এটা লজ্জার !’
ট্রুনিকল লিখেছে,’অক্ষয় কুমার মুম্বাইয়ের হাজি আলি দরগাহে ১.২ কোটি টাকা দান করেছেন ৷ ২০২২ সালে, মাহিমের ট্রাস্টি এবং হাজি আলি দরগাহকে মুম্বাইতে এন আই এ অভিযানের পর আটক করা হয়েছিল৷ দাউদ ইব্রাহিমের সাথে তাদের সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। সোহেল খান্দওয়ানি যিনি হাজি আলি দরগাহ এবং মহিম দরগাহের ট্রাস্টি ছিলেন তাকে আটক করা হয়েছে। হ্যালো অক্ষয় ।’
সাগর কুমার নামে এক এক্স ব্যবহারকারীর প্রতিক্রিয়া, ‘অক্ষয় কুমার মুম্বাইয়ের হাজি আলী দরগায় ১.৫ কোটি টাকা দান করেছেন। ভালো কথা, এটা আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু বাংলাদেশে হিন্দু ও হিন্দু মন্দির পোড়ানো হচ্ছে। সেখানে হিন্দুদের জন্য দান করা যাবে না, অন্তত দুইটা কথা লিখুন। তবে ছেড়ে দিন।’।