এইদিন ওয়েবডেস্ক, ভাতার(পূর্ব বর্ধমান) ৬ ডিসেম্বর : বাংলায় একটা প্রবাদ আছে ‘উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ।’ অনিচ্ছায় কোনওকিছু সম্প্রদান করা বা হাতছাড়া জিনিস দান করা- এমন বোঝাতে ওই প্রবাদটি ব্যবহার করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে কিপ্টে ব্যক্তি কিছু খই নিয়ে যাওয়ার সময় জোরে বাতাস বইতে লাগে। ঝুড়িতে থাকা খই উড়ে যায়। আর বাতাসে যে খই উড়ে যাচ্ছে সেগুলো তো আর তুলে খাওয়া যাবে না। সেগুলো না হয় ভগবানের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে দিলাম এই ভেবে তিনি বলতে থাকেন,”উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ।”
শুক্রবার ৬ ডিসেম্বর সিপিএমের ‘কালাদিবস’ পালন অনেকটা যেন মিলে যায় ওই প্রবাদের সঙ্গে। তাই বাবরি মসজিদ ভাঙার প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে সিপিএমের মিছিল থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের প্রতিবাদের কথাও শোনা গেল। অযোধ্যায় রামজন্মভূমির উপর নির্মিত যে বাবরি মসজিদ করসেবকরা ভেঙে দিয়েছিলেন ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর সেই দিনটি মাথায় রেখে বঙ্গ সিপিএম বরাবরই এই দিনটি ‘কালাদিবস’ হিসাবে পালন করে থাকেন। এদিন সন্ধ্যায় ভাতার বাজারে সিপিএমের ছাত্র ও যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে মশাল মিছিলের আয়োজন করা হয় দলীয় কর্মসূচি মেনে। আর এই মিছিল থেকে বাংলাদেশে চলতে থাকা সংখ্যালঘু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর নিপীড়নের প্রতিবাদও জানানো হয়।
বস্তুতপক্ষে বাংলদেশে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই নাগারে হিন্দুদের উপর অত্যাচার চলে আসছে। সম্প্রতি তা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের মৌলবাদীদের সেই সন্ত্রাস দেখছে আপামর বিশ্ববাসী। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার আক্রমণের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে এরাজ্যে বিজেপি ছাড়া অন্যকোনও রাজনৈতিক দলকে রাস্তায় নামতে সেভাবে দেখা যায় নি। তারই মধ্যে এদিন শুক্রবার সিপিএমকে দেখা গেল রাস্তায় নেমে মশাল হাতে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ জানাতে। যদিও শুধুমাত্র বাংলাদেশ ইস্যুতে সিপিএম এদিন পথে নামে তা নয়। এই দিনটি সিপিএম বরাবরই কালা দিবস হিসাবে পালন করে আসছে। ৩২ বছর আগে করসেবকদের হাতে রাজজন্মভূমির উপর নির্মিত বাবরি মসজিদ ভাঙার প্রতিবাদে। আর বামেদের এই কালাদিবসের দিনে দলের প্রচার মিছিল থেকে ওঠা স্লোগানে বাবরি মসজিদ ভাঙার প্রতিবাদের পাশাপাশি শোনা গেল বাংলাদেশে ঘটে চলা সন্ত্রাসের প্রতিবাদও। এদিন ভাতার বাজারে দমকল অফিসের সামনে থেকে সিপিএমের মশাল মিছিল শুরু হয়। বাজার ঘুরে কর্মসূচি শেষ হয়।।