এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২২ জুন : ভূমি সংস্কার আইন বলে স্থানীয় জমিদারদের কাছ থেকে প্রায় ১৪ একর জমি ছিনিয়ে নিয়ে শতাধিক পরিবারের মধ্যে বিতরণ করে দিয়েছিল সিপিএম ৷ কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পর সেই জমি শাসকদলের মদতে এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ পাট্টা প্রাপকদের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ । পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার কাশীপুর গ্রামের ওই ১৪ একর জমিতে আজ রবিবার লাল পতাকা পুঁতে দখল নিল সিপিএম । সিপিএমের কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষকসভার ভাতার ২ নম্বর ব্লক কমিটির সম্পাদক তারাপদ ঘোষের নেতৃত্বে স্থানীয় বেশকিছু পরিবারের লোকজন মিছিল করে গিয়ে ওই জমির দখল নেয় । ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় পড়ে গেছে এলাকায়৷
জানা গেছে,এককালে কামারপাড়া গ্রামের জমিদার পরিবারের সম্পত্তি ছিল ওই ১৪-১৫ একর পরিমাণ জমি । বামফ্রন্টের জমানায় ভূমি সংস্কার আইন আনা হলে পরে সেই আইনের বলে ওই জমি জমিদার পরিবারের কাছ থেকে কেড়ে নেয় সিপিএম । সেই সময় পশ্চিম ভাতারের কামারপাড়া এলাকায় সিপিএমের প্রবল দাপট ছিল । পরে সেই জমির পাট্টা করে শতাধিক ভূমিহীন পরিবারদের মধ্যে বিতরণ করা হয় ।
তারাপদ ঘোষের অভিযোগ,প্রায় ২৫ বছর আগে পাট্টা দেওয়া ওই জমিতে চাষবাস করছিল ওই সমস্ত অসহায় পরিবারগুলি । কিন্তু বছর তিনেক ধরে কিছু স্থানীয় জোতদার শাসকদলের মদতে সেগুলি দখল করে নেয়। অসৎ উপায়ে রেকর্ডও করে ফেলে। এমনকি তার মধ্যে কিছু জমি বিভিন্ন সংস্থাকে বিক্রি পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছিল ।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিবারগুলিকে সাথে নিয়ে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম । দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে আদালতের নির্দেশে ফের জমিগুলি সরকারের খতিয়ানে চলেও এসেছে । আমরা চাই প্রায় ২৫ বছর আগে কাশীপুর মৌজার যে ১৪-১৫ একর খাসজমি এলাকার ভূমিহীন পরিবারগুলির মধ্যে বিলি করা হয়েছিল সেগুলি তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক ।’
যদিও গরীবদের মধ্যে বিলি করা জমি কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে সিপিএমের অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেননি তৃণমূল কংগ্রেসের ভাতার ব্লক সভাপতি বাসুদেব যশ৷ তবে তিনি জানান, ওই পরিমান জমি এক নম্বর খতিয়ানের অন্তর্ভুক্তই ছিল । সরকারিভাবে সাইনবোর্ডও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল । এখন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন ।।

