এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৯ ফেব্রুয়ারী : বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিচারিকার সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের এক সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে । বছর পঁচিশের ওই মহিলা বুধবার ভাতার থানার পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন,বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে শেখ জামাল নামে ওই সিপিএম নেতা প্রায় ৯ মাস ধরে তার সঙ্গে সহবাস করে আসছিল । বর্তমানে তিনি চার মাসের অন্তসত্ত্বা । সেই কারনে তিনি জামালকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন । কিন্তু সে বিয়ে করতে অস্বীকার করে,এমনকি পরিবারের লোকজন তাকে হুককিও দিত বলে অভিযোগ তাঁর । এদিকে মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতেই ওই সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ধৃতের বাড়ি ভাতার থানার পাটনা গ্রামে । তিনি সিপিএমের ভাতার ১ নম্বর এরিয়া কমিটির সদস্য । বৃহস্পতিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়েছে ।
এদিকে সিপিএমের সারাভারত কৃষকসভার পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সহ সম্পাদক নজরুল হক এই ঘটনায় শাসকদলের চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন । তার কথায়,’আমাদের দলের বাড়বাড়ন্ত দেখে পরিকল্পিতভাবে চক্রান্ত করেছে শাসকদল । পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আমাদের দলকে বদনাম করতে চাইছে । অন্যদিকে চক্রান্তের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিত্যানন্দপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পাটনা গ্রামের বাসিন্দা জুলফিকার আলি । তিনি বলেছেন, ‘সিপিএমের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করার কোনো প্রয়োজন নেই আমাদের । আমাদের যথেষ্ট জনসমর্থন আছে ।’
জানা গেছে,পাটনা গ্রামে বাপেরবাড়ি অভিযোগকারী মহিলার । বছর সাতেক আগে তার বিয়ে হয়েছিল। এক সন্তানও রয়েছে তার । কিন্তু বিয়ের বছর দুয়েকের মাথায় স্বামীর সঙ্গে তালাক হয়ে যায় মহিলার । তালাকের পর সন্তানের দায়িত্ব প্রাক্তন স্বামী নিলে তিনি বাপের বাড়ি চলে আসেন । অন্যদিকে পেশায় কৃষক শেখ জামালও বিবাহিত । বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী, এক সন্তান ও বৃদ্ধ বাবা-মা । সন্তানের পড়াশোনার সুবিধার্থে জামালের স্ত্রী তার ছেলেকে নিয়ে বর্ধমান শহর সংলগ্ন এলাকায় থাকেন । সেই কারনে বাবা-মার দেখাশোনা ও রান্নাবান্নার কাজের জন্য গ্রামের ওই স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাকে পরিচারিকা হিসাবে রেখেছিলেন ওই সিপিএম নেতা । মহিলার অভিযোগ,’জামাল আমায় বলেছিল তার স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবে । সে আমায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় । তারপর বিগত ৯ মাস ধরে আমার সঙ্গে সহবাস করছিল । বর্তমানে আমি ৪ মাসের অন্তসত্ত্বা । কিন্তু একথা জানার পর থেকে জামাল আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে । এমনকি তার পরিবারের লোকজন আমাকে হুমকিও দেখাচ্ছিল । সেই কারনে আমি বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি ।’ যদিও অভিযুক্ত শেখ জামাল নিজেকে নির্দোষ হিসাবে দাবি করেছেন ।।