দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৮ মার্চ : রাজ্যের বামফ্রন্ট শাসনকালে ২০০৬ সালে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার শ্রীখন্ড মৌজায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল । ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে কয়েক ধাপে ৫৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় । গোটা এলাকাটা ঘেরা হয় সীমানা প্রাচীর দিয়ে । কিন্তু ওই পর্যন্তই । তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ আর বেশি দূর গড়ায়নি । এদিকে সীমানা প্রাচীর ভেঙে প্রস্তাবিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জায়গাটি গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে । এবার ওই জায়গায় কর্মসংস্থানমুখী শিল্প গড়ে তোলার দাবি তুললো সিপিএম ।
সিপিএমের শ্রমিক,ছাত্র,যুবক,কৃষক ও মহিলা সংগঠন মিলিতভাবে এনিয়ে কনভেনশনের আয়োজন করল মঙ্গলবার । এদিন বিকেলে কাটোয়া শহরের নজরুল মঞ্চে আয়োজিত ওই কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য অচিন্ত্য মল্লিক । তিনি জানান, দলের শাখা সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে । ওই কমিটির পক্ষ থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য অধিগৃহীত জমিতে যেকোনও কর্মসংস্থানমুখী শিল্পের দাবি জানানো হবে রাজ্য সরকারের কাছে ।
জানা যায়,কাটোয়ায় প্রস্তাবিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রথমদিকে ‘ওয়েষ্টবেঙ্গল পাওয়ার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন’-এর হাতে দেওয়া হয়েছিল । পরবর্তী সময়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় এনটিপিসিকে । তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা পরিবহনের সুবিধার্থে বর্ধমান-কাটোয়া ন্যারোগেজকে ব্রডগেজে উন্নতিকরণের জন্য কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব দেয় এনটিপিসি । সেই প্রস্তাব মেনে তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব বর্ধমান-কাটোয়া রেলপথকে ব্রডগেজে উন্নীত করার ছাড়পত্র দেন । আর রেলমন্ত্রীর এই ঘোষণার অল্প দিনের পর থেকেই ব্রডগেজের কাজও শুরু হয়ে যায় । বেশ কয়েক বছর আগেই বর্ধমান-কাটোয়া ন্যারোগেজ রেলপথ ব্রডগেজে উন্নীত হয়েছে । কিন্তু কোনো এক অজানা কারনে কাটোয়ায় প্রস্তাবিত তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ আর এগোয়নি । এখন দেখার সিপিএমের আন্দোলনের পর এই বিষয়ে কি উদ্যোগ নেয় রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ।।