জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২০ জুন : আশঙ্কাকে সঙ্গী করে ও শাসকদলের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নপত্র জমা করে বিরোধীরা। প্রাথমিক পর্ব কিছুটা নির্বিঘ্নে কাটলেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন যত এগিয়ে আসতে থাকে ততই শুরু হয় শাসকদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের নীরব সন্ত্রাস ও সরব হুমকি। পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না ! কার্যত নির্বাচন পরিণত হয়েছে প্রহসনে। এটাই মূলত বিরোধী দলের অভিযোগ।
শাসকদল তৃণমূলের প্রতিকারহীন সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আগামী ২১ জুন আউশগ্রাম-২ সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কার্যালয়ে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও প্রশাসনের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক বয়কট করল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম-২ ব্লকের সিপিএমের গুসকরা পশ্চিম এরিয়া কমিটি ।
তাদের বক্তব্য যখন শাসক দল তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছেনা তখন এই ধরনের হাস্যকর লোকদেখানি বৈঠকে যোগ দিয়ে লাভ কি? এই প্রশ্ন তুলে ১৯ জুন বুদবুদের কোটা হাটতলা বাজারে দলীয় অফিসে আয়োজিত এক জরুরি সাংবাদিক সম্মেলনের পর সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ না দেওয়ার বিষয়ে দলের সিদ্ধান্তের কথা নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিল সিপিআইএমের জেলা নেতৃত্ব।
দলের নেতা কোহিনূর গাঙ্গুলি বললেন,’দলীয় কর্মীদের উপর শাসক দলের হুমকির বিষয়ে আমরা বারবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছি। এমনকি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য শাসক দল যে চাপ দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে সেটাও জানিয়েছি ।’ তার আরও দাবি,’ভয়ে আমাদের অনেক প্রার্থী ঘরছাড়া হয়েছে। অভিযোগ জানান সত্ত্বেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাছাড়া এখনো তাদেরকে পর্যবেক্ষকের নাম বা মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়নি বা দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। তাই আমরা দলের পক্ষ থেকে এই সর্বদলীয় বৈঠক বয়কট করলাম ।’
যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার বললেন, ‘আসলে প্রার্থী না পেয়ে বিরোধীরা নাটক করছে। তারা ভেবেছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তৃণমূল বাধা দেবে। কিন্তু সেটা হয়নি। তাই তারা কোনো অভিযোগ করেনি। এখন প্রার্থী না পেয়ে সম্মান বাঁচানোর জন্য নতুন নাটক শুরু করছে। কিন্তু মানুষ তাদের চালাকি ধরে ফেলেছে। তাছাড়া মানুষ এখনো সিপিএমের নৃশংস অত্যাচারের কথা ভোলেনি ।’।