এইদিন ওয়েবডেস্ক,কোচবিহার,২৩ অক্টোবর : দিপাবলীর রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে বাজি ফাটানোর অপরাধে মহিলা ও শিশুদের মারধরের অভিযোগের পর অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হল কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে । তার জায়গায় নতুন পুলিশ সুপার হলেন সন্দীপ কাররা। দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের ৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার করা হয়েছে। ওই পুলিশ আধিকারিককে কটাক্ষ করে উত্তরের জনপ্রিয় লোকগীতি গায়ক মণীন্দ্র বর্মন ফেসবুকে লিখেছেন,’কি ভেবেছিলেন মশাই ? আপনি কোচবিহারের ভগবান হয়ে গেছিলেন ? আইনের পোষাক পড়ে গুন্ডামি করে ছাড় পেতে চেয়েছিলেন ? বেতনটা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পান, আর জনগনকেই অন্যায় ভাবে দাদাগিরি করে পেটাবেন, আবার নিজেকে সাধু প্রমাণ করার জন্য কিছু চেলা চামুন্ডাকে লাগিয়ে সংবিধানের খিল্লি উড়াবেন ? না না মশাই সে দিন আর নেই,,, কোচবিহারের মানুষ এখন দাদাগিরির জবাব দিতে শিখেছে।’
উল্লেখ্য, দীপাবলির দিন নিজের আবাসনের কাছে রাত্রি প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ বাজি ফাটানোয় এলাকায় প্রতিবেশী মহিলা ও শিশুদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ ওঠে খোদ দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে৷ হাফ প্যান্ট, স্যান্ডো গেঞ্জি পড়ে ও মাথায় কাপড়ের ফেট্টি বেঁধে হাতে লাঠি নিয়ে মারমুখী পুলিশ সুপারের সিসিটিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় । বিরোধী দলনেতা ভিডিওটি শেয়ার করে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান । যদিও বিতর্ক দানা বাঁধতেই সাংবাদিক সম্মেলন করে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি । যদিও স্থানীয় এক ভুক্তভোগী মহিলার স্পষ্ট ভাষায় জানান যে সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় পুলিশ সুপার তাদের মারধর করেছিলেন । অভিযোগ ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয় কোচবিহার জুড়ে। আসরে নেমে পড়ে স্থানীয় বিজেপি । সমাজমাধ্যমে পুলিশের পক্ষে বিপক্ষে মত প্রকাশ করেন অনেকেই।
এদিকে, ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। পুলিশ সুপারের বাংলোর সামনে পথ অবরোধ থেকে ধৃত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ঘটনার রাতে ‘আক্রান্ত’ আইনজীবী মল্লিকা কার্জি সহ তিনজন মহিলাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। বাকি পাঁচজনকে দুইদিনের পুলিশি ও তিনজনকে জেল হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য,দ্যুতিমান ভট্টাচার্য পুলিশ সুপার থাকাকালীনই কোচবিহারে পুলিশের সামনেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে ।।

