এইদিন ওয়েবডেস্ক,কোচবিহার,২১ অক্টোবর : মাথায় ফেটি,জাঙিয়া ও গেঞ্জি পরে মদ্যপ অবস্থায় কিশোর ও এক মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য্যের বিরুদ্ধে । পুলিশ সুপারের সেই আক্রমনাত্মক সিসিটিভি ফুটেজ ও আক্রান্ত মহিলা মল্লিকা দাসের বক্তব্যের ভিডিও এক্স-এ শেয়ার করে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । ভিডিওতে মল্লিকা দাসকে বলতে শোনা গেছে,’গতকাল দীপাবলি উপলক্ষে বাচ্চারা বাজি ফাটাচ্ছিল । আমরা দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। আমার হাজবেন্ড নিজেও দাঁড়িয়ে ছিল যাতে বাজি পাঠাতে গিয়ে বাচ্চাদের বা অন্য কারোর যাতে কোন ক্ষতি না হয় । হঠাৎ করে এসপি সাহেব ৪-৫ জন লোক নিয়ে, ইউনিফর্ম না পরে,নরমাল হাফপ্যান্ট স্যান্ডো গেঞ্জি এবং মাথায় ফেটি লাগিয়ে এসে কোন কিছু না বলে বেধড়ক মার শুরু করে । বেশিরভাগ বাচ্চারা মাইনর ছিল,১২ বছরের,আমি নিজেও ছিলাম। আমার কথা হচ্ছে যে যদি ওনার কোন প্রবলেম হয় তাহলে উনি এসে কথা বলবেন না কি উনি লাঠিচার্জ করবেন ? লাঠিচার্জ করার রাইট উনি কোথায় পেলেন ? উনি উইদাউট ইউনিফর্ম লেডি কনস্টেবল ছাড়া আমার গায়ে কি করে হাত দেন ? আমি তো মহিলা মানুষ। আমি কি সেখানে কিছু করছিলাম ? আমি জাস্ট বোম ফাটানো দেখছিলাম । আমাদের সিসিটিভি ফুটেজ আছে । উনি মদ্যপ অবস্থায় এসে যা গালিগালাজ করলেন….’ তিনি জানান যে সোয়া বারোটা সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ।
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’কোচবিহারের ৯নং ওয়ার্ডের রেলঘুমটি এলাকায় গতকাল কালীপুজোর রাতে কয়েকজন অপ্রাপ্তবয়স্ক বাচ্চা উৎসব উদযাপন করার সময় বাজি পোড়াচ্ছিল। সেই সময় কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য্য সেই বাচ্চাদের ও এক মহিলাকে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় মারধর করেন। কয়েকদিন আগে জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চের অনুমতিতে আমি কোচবিহার যাই এনার সাথে সাক্ষাত করতে, তখন এই কীর্তিমান পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে খাগড়াবাড়ি এলাকায় জেহাদিদের দ্বারা আমাকে আক্রান্ত হতে হয়।গতকালের ঘটনার বিবরণ আক্রান্ত মহিলার মুখে দলদাস এসপির কীর্তি শুনুন ।’
অন্যদিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য্য। তার কথায়,’আমার রেসিডেন্টের পাশেই সন্ধ্যা থেকে ক্রমাগত বাড়িয়ে পাঠাচ্ছিল । লোক পাঠিয়ে বারণ করা হয়েছিল । কিন্তু রাত্রে একটা অব্দি ক্রমাগত বাজি ফাটিয়ে যাচ্ছিল । আমার স্ত্রী পর্যন্ত কাউন্ট করেছে যে একসাথে ৬০ টা পর্যন্ত বাজি পাঠিয়েছে। গার্ড পাঠিয়ে বারবার বারণ করেছি । তারপরে পড়া হয় যে আপনারা এমন করবেন না । কোন মারধোরের ঘটনা ঘটেনি ।’ যদিও মল্লিকা দাস বলেন,’আরো অনেক সাক্ষী ছিল । আমাদের যদি বলা হতো বা কাকা হত আমরা কি যেতাম না ? উনি কি কাউকে দিয়ে ডেকে পাঠিয়েছিলেন আমাদের ? কোন কি প্রমাণ আছে ? আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে ।’।