প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২১ জুলাই : ঠাকুর ঘরে ঠাকুরকে ফুল জল দিতে গিয়ে ভাসুরের নৃশংস হামলার শিকার হলেন বৌমা। গলার ধারালো অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দিয়ে বৌমাকে মারাত্মক জখম করার অভিযোগ উঠলো ভাসুরের বিরুদ্ধে।এই ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির আমাদপুর পঞ্চায়েতের বিজরা গ্রামে।রক্তাত অবস্থায় বধূ রমা কর্মকার কে মন্দির থেকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন নিয়েযান মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা করেই চিকিৎসকরা বধূকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। অভিযুক্ত ভাসুর সত্যচরণ কর্মকার ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যান । তদন্তে নেমে মেমারি থানার পুলিশ ভাসুরের সন্ধান চালাচ্ছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বিজরা গ্রামের বারোয়ারি তলা এলাকায় বাড়ি কর্মাকার পরিবারের।বাড়ির লাগোয়া জায়গায় রয়েছে ওই কর্মকার পরিবারের মন্দির । আক্রান্ত বধূ রমা কর্মকারের জা চম্পা কর্মকার জানান , এদিন সকালে তাঁর বড় ভাসুর সত্যচরণ কর্মকার মন্দিরে ঠাকুর কে ফুল জল দেন । তার খানিক পর রমা কর্মকারও বাড়ির ঠাকুর ঘরে গিয়ে ঠাকুরকে ফুল জল দিতে যান। ওই সময়ে বড় ভাসুর সত্যচরণ কর্মকারের সঙ্গে রমার কখন অশান্তি হয় তা বাড়ির কেউ টের পায়নি । কি নিয়ে অশান্তি বাধে তাও কেউ জানে না । গালায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত নিয়ে রমা রক্তাত অবস্থায় আর্তনাদ করতে থাকলে বিষয়টি জানাজানি হয় । পাড়ার লোকজন ছুটে আসে। তখনই বড় ভাসুর সত্যচরণ কর্মকার গা ঢাকা দেন।তার কারণে সবাই একপ্রকার নিশ্চিৎ হয়ে যায় বড় ভাসুরই ধারালো অস্ত্রদিয়ে রমার গলায় আঘাত করে রমাকে জখম করেছে । এই ঘটনার খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ কর্মকার বাড়িতে ছুটে যায়।
এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, ’পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ’। এলাকাবাসীদের কথায়, ’সত্যচরণ কি কারণে এমন ঘটনা ঘটালেন সেই বিষয়টি রহস্যে মোড়া । একমাত্র পুলিশের তদন্তেই আসল ঘটনা সামনে আসবে ।’।