এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৬ মার্চ : ভারতের বামপন্থীদের নাস্তিকতা একমুখি বলে বলে বারবার অভিযোগ ওঠে । কারন নাস্তিকতার নামে তারা একতরফাভাবে হিন্দু ধর্ম ও দেবদেবীদের আক্রমণ করলেও অন্য ধর্মের বিষয় আশ্চর্য রকম নীরব । সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা ও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য, যিনি রাজধানী শহরের রাজপথে প্রকাশ্যে গরুর মাংস খেয়ে নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ প্রমান করার চেষ্টা করেছিলেন, প্রকাশ্য মঞ্চে সেই বিকাশের মুখেই দেবী কালী ও ভগবান গনেশ সম্পর্কে কটুক্তি শোনা গেছে ৷ বারবার বিতর্কে থাকা, বামপন্থীদের ঘাঁটি বলে পরিচিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল গত বছর ।এছাড়া গত বছরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাম নবমী পালন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল । বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ পড়ুয়াকে রাম নবমী পালনে অনুমতি দিলেও তা প্রত্যাহার করল কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, ক্যাম্পাসে শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে। সম্প্রীতি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় জরুরি ভিত্তিতে অনুমতি প্রত্যাহার করল বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই ধুমধাম করে আয়োজিত হল ইফতার ও নামাজ পাঠের আসর । যা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যের বিজেপি নেতারা ।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এক্স-এ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ইফতার ও নামাজ পাঠের আসরের ভিডিও এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন,’এটাই লিব্যারাল বামপন্থীদের মুক্তচিন্তার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র যাদবপুর! বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যেখানে বাগদেবী মা সরস্বতীর আরাধনার কথা হলে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ ওঠানো সিউডো-সেক্যুলারদের ভ্রু কুঞ্চিত হয় কিন্তু এসব কেবলই ধর্মনিরপেক্ষতা মাত্র! সম্প্রতি বাংলাদেশকে দেখে অনুপ্রাণিত হওয়া সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসপন্থীদের কাছেও বাড়তি অক্সিজেন! সনাতন হিন্দু বিরোধী মতাদর্শ অক্ষুণ্ন রেখে বাম-তৃণমূল অজৈব জোটের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে দেবী সরস্বতীর প্রবেশ নিষিদ্ধ কিন্তু এসবে মুখে কুলুপ!’
রাজ্য বিজেপির যুবনেতা তরুনজ্যোতি তিওয়ারি ফেসবুকে লিখেছেন,’যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাচ্চা মুসলমানের বাচ্চারা ইফতার করবে বুঝলাম, হিন্দুর বাচ্চাদের রামনবমী পালনে আপত্তি কিসের? ইফতার ধর্মনিরপেক্ষ আর রামনবমী পালন উগ্র হিন্দুত্বের প্রতীক? 2024 সালে যাদবপুরে SFI, JUTA এবং অন্যান্য বাম এবং অতি বাম সংগঠনের জন্য রামনবমী পালন করা যায়নি। কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েও সেটা প্রত্যাহার করেছিল এইসব বাম সংগঠনদের চাপে। ইফতারে কোন বিরোধ হয় না তো। মুসলমানদের কথা ছেড়ে দিলাম তারা তাদের ধর্ম পালন করে। যে হিন্দুগুলো ওখানে আছে তারা হিন্দু তো?’