এইদিন ওয়েবডেস্ক,বরেলি,২৯ সেপ্টেম্বর : ইত্তেহাদ-ই-মিল্লাত কাউন্সিলের (আইএমসি) প্রধান মাওলানা তৌকির রাজার (Maulana Toukir Raja) ডাকে শুক্রবার উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে ব্যাপক হিংসা চালায় মুসলিম জনতা । এই মামলায়, পুলিশ মাওলানা তৌকির রাজাকে অভিযুক্তদেএ তালিকায় এক নম্বরে নাম রেখেছে। বরেলি পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে তৌকির রাজার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে খবর পাওয়া গেছে মাওলানা তৌকির রাজার বাড়িতে পেট্রোল বোমা এবং অবৈধ অস্ত্রের ভান্ডারের হদিশ পাওয়া গেছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুয়ায়ী,বরেলিতে হিংসার পর পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায়। তল্লাশি অভিযানের সময় মাওলানা তৌকিরের বাড়ি থেকে পেট্রোল বোমা সহ প্রচুর পরিমাণে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়, যা পুলিশের উপর আক্রমণের জন্য মজুত করে রাখা হয়েছিল । শুক্রবার বরেলিতে হিংসার মূল পরিকল্পনাকারী হল এই মাওলানা তৌকির রাজা । এখন তার বাড়ি থেকে বিপুল অস্ত্র ভান্ডার উদ্ধারের পর তার গোপন পরিকল্পনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ । এই মামলায় এখনও পর্যন্ত আটজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।সময় মাওলানা তৌকিরের বিরুদ্ধে UAPA এবং NSA প্রয়োগের প্রস্তুতি চলছে বলে খবর ।
পুলিশের দায়ের করা এফআইআর অনুসারে, বরেলিতে হিংসায় জড়িত জনতা দাবি করেছে যে তৌকির তাদের শহরের পরিবেশ বিঘ্নিত করতে, মুসলমানদের কাছে তাদের শক্তি প্রদর্শন করতে বলেছিলেন, এমনকি এর জন্য পুলিশ সদস্যদের হত্যা করার পর্যন্ত নির্দেশ দিয়েছিল সে । তার আবেদনের পর, জনতা অবৈধ অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর গুলি চালায়, লাঠি ছিনিয়ে নেয়, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে, ব্যাজ ছিঁড়ে ফেলে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করে, এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। পুলিশের এফআইআর অনুসারে, তৌকির রাজার অনুরোধে জনতা জড়ো হয়ে স্লোগান দেয়, ভাঙচুর করে এবং পুলিশের উপর আক্রমণ করে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে লাঠিচার্জের প্রয়োজন হয়।
এফআইআরে প্রকাশ করা হয়েছে যে তৌকির রাজা এবং তার সহযোগী নাদিম সহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই হিংসা সংঘটিত করেছিল । তার নির্দেশে অপরাধী সহ অন্যান্য জেলার লোকদেরও ডাকা হয়েছিল। পুলিশ এখন জড়িতদের সনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করার জন্য দ্রুত কাজ করছে।
অন্যদিকে,আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) বেরিলির নভেলটি স্কোয়ারে অবস্থিত একটি অবৈধ বাজারের বিরুদ্ধে পৌর কর্পোরেশন একটি বড় ধরনের অভিযান শুরু করে। এই বাজারটি মাওলানা তৌকির রাজার সাথে সম্পর্কিত বলে জানা গেছে। পৌর জমি এবং একটি ড্রেনের উপর আটত্রিশটি দোকান অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছিল। জানা যাচ্ছে যে এই দোকানগুলি পেহলওয়ান সাহেবের সমাধির আড়ালে নির্মিত হয়েছিল। তৌকির রাজার দল, ইত্তেহাদ-ই-মিল্লাত কাউন্সিলেরও এই বাজারে অফিস রয়েছে। পৌর কর্পোরেশনের দল ভারী পুলিশ বাহিনী এবং আরএএফ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং দোকানদারদের তাদের জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য সময় দেয়। এর পরে, দোকানগুলি ভাঙার কাজ শুরু হয়। সম্ভাব্য কোনও গোলযোগের আশঙ্কায়, প্রশাসন অভিযানে কোনও ব্যাঘাত না ঘটানোর জন্য ঘটনাস্থলে RAF এবং বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেছে। তাছাড়া, পুলিশ শাহজাহানপুর থেকে তৌকির রাজার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নাদিমকে গ্রেপ্তার করেছে। নাদিমের বিরুদ্ধে জনতাকে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।।