এইদিন ওয়েবডেস্ক,২১ জানুয়ারী : টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করা মামলায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পথ খারিজ হয়ে গেছে । এমনকি দিল্লিতে তার সরকারি বাংলোটিও তাকে খালি করতে হয়েছে । বেশ কয়েকটি নোটিশ পাঠানোর পর অবশেষে রুটি খালি করে দিয়েছেন মহুয়া মৈত্র । আর এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় । মহুয়া মৈত্রে ইস্যুতে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পিপিপি মডেল কে তিনি ‘পশ্চাৎ পক্কতার পরিণাম’ বলে কটাক্ষ করেছেন ।
সোশ্যাল মিডিয়া ‘এক্স’-এ তথাগত রায় লিখেছেন,
‘এর নাম PPP mode, বাংলায় ‘পশ্চাৎ পক্কতার পরিণাম’। তাই কথায় বলে, “অতি বাড় বেড়ো না, ঝড়ে পড়ে যাবে”। অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্র দিল্লিতে তার সরকারি বাংলোটি খালি করেছেন। অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন’ কাণ্ডে গত ৮ ডিসেম্বর মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হয়। দীর্ঘদিন একাধিক আদালতে কড়া নেড়েও লাভের লাভ কিছু হয়নি। ডিরেক্টরেট অব এস্টেটের পাঠানো নোটিসে, কড়া ভাষায় জানানো হয়েছিল, মহুয়া মৈত্র যদি নিজে থেকে বাংলো খালি করে না দেন, তাহলে তাঁকে ওই প্রাঙ্গণ থেকে উচ্ছেদ করা হবে। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করা হবে বলেও জানানো হয়।’
প্রসঙ্গত,গত বছর ৮ ডিসেম্বর লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল মহুয়া মৈত্রকে । এর পরে, সংসদের হাউজিং কমিটি মহুয়াকে গত ৭ জানুয়ারীর এক মাসের মধ্যে সরকারি বাংলোটি খালি করতে বলেছিল। কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক এই আদেশের কথা জানিয়ে গত বছর ১১ ডিসেম্বর মহুয়াকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল। এর পরে ১২ ডিসেম্বর তাকে তৃতীয় নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ১৮ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্টে যান । মহুয়া মৈত্র হাইকোর্টে যুক্তি দিয়েছিলেন যে তিনি আবার নির্বাচনী ময়দানে রয়েছেন, তাই তাকে বাংলোতে থাকতে দেওয়া উচিত। নির্বাচন এখনো ঘোষণা না হওয়ায় হাইকোর্ট তার যুক্তি খারিজ করে দেন ।
দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে যে সুপ্রিম কোর্ট এখনও সংসদ থেকে তার বহিষ্কার স্থগিত করেনি, তাই বাংলো থেকে তাকে বহিষ্কারের ক্ষেত্রে সংবিধানের ২২৬ অনুচ্ছেদের অধীনে তাকে কোনও স্বস্তি দিতে পারে না । তা সত্ত্বেও তিনি বাংলোটি খালি না করার বিষয়ে অনড় ছিলেন, কিন্তু অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মহুয়া মৈত্র বাংলোটি খালি করে চলে যান । এস্টেট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা তাঁর বাংলোতে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে মহুয়া মৈত্রের আবেদনের শুনানি হবে আগামী ২৪ জানুয়ারী ।।