এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেঙ্গালুরু,০৯ জানুয়ারী : কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণন ইতিপূর্বেই মন্তব্য করেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করতে করতে তার দল নিজের দেশ ও সংখ্যা গরিষ্ঠ হিন্দুদের অপমান করতে শুরু করে দিয়েছে ।ফের একবার তার প্রমান দিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে । সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর লাক্ষাদ্বীপ সফরে ক্ষিপ্ত হয়ে মালদ্বীপের তিনজন উপমন্ত্রীর ‘অপমানজনক মন্তব্য’ করেছিল । এতে ভারতবাসী চরম ক্ষুব্ধ হয়ে মালদ্বীপ ভ্রমণ স্থগিত করতে শুরু করেছে । বলিউড থেকে শুরু করে সব মহলে মালদ্বীপের মন্ত্রীদের ওই মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে । সলমন খান, অক্ষয় কুমার, টাইগার শ্রফের মত বলিউড অভিনেতারা ছাড়াও প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকরও । অথচ মল্লিকার্জুন খাড়গের পরামর্শ হল যে প্রধানমন্ত্রীর এই অপমানকে স্বাভাবিক ভাবে নেওয়া উচিত !
আজ মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে মল্লিকার্জুন খাড়গে মন্তব্য করেছেন,প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সবকিছু ‘ব্যক্তিগতভাবে’ নিচ্ছেন। তিনি প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন । খাড়গে বলেছেন,’নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর, তিনি সবকিছু ব্যক্তিগতভাবে নিচ্ছেন। আন্তর্জাতিক স্তরে, আমাদের প্রতিবেশীদের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখা উচিত… সময় অনুযায়ী কাজ করা উচিত… আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের পরিবর্তন করতে পারি না…।’
প্রসঙ্গত,ভারত বিদ্বেষী ও চীনপন্থী মোহাম্মদ মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মালদ্বীপের সাথে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে ভারতের । প্রধানমন্ত্রীর লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জে পর্যটন প্রচারের জন্য সফরের পর মালদ্বীপের তিনজন উপমন্ত্রীর অসম্মানজনক মন্তব্যে সেই সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায় । বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ মালদ্বীপ বয়কট ট্রেন্ড চলছে ।
নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে অপমানজনক মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে খোদ মালদ্বীপ অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি (MATI) । ভারতকে মালদ্বীপের নিকটতম প্রতিবেশী এবং মিত্রদের মধ্যে একটি হিসাবে উল্লেখ করে,ওই সংস্থা উল্লেখ করেছে যে ভারত সর্বদা দ্বীপ দেশের ইতিহাস জুড়ে বিভিন্ন সংকটের প্রথম প্রতিক্রিয়াশীল দেশ । ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী এবং মিত্রদের মধ্যে একটি। ভারত সর্বদাই আমাদের ইতিহাস জুড়ে বিভিন্ন সংকটের প্রথম প্রতিক্রিয়াশীল এবং সরকার এবং ভারতের জনগণ আমাদের সাথে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে তার জন্য আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ ।
সংস্থাটি বলেছে,ভারত “মালদ্বীপের পর্যটন শিল্পে ধারাবাহিক এবং উল্লেখযোগ্য অবদানকারী। সীমান্ত পুনরায় খোলার পরে ভারত কোভিড-২৯ মহামারী চলাকালীন মালদ্বীপের পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে প্রচুরভাবে সহায়তা করেছে । একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমএটিআই বলেছে, তারপর থেকে, ভারত মালদ্বীপের অন্যতম শীর্ষ বাজার হিসাবে অবারিত রয়েছে । এটি আমাদের আন্তরিক ইচ্ছা যে আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আগামী প্রজন্মের জন্য স্থায়ী হয় এবং সেইজন্য, আমরা এমন কাজ বা বক্তব্য থেকে বিরত থাকি যা আমাদের ভাল সম্পর্কের উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে ।
কিন্তু মালদ্বীপের ওই সংস্থা নিজের দেশের মন্ত্রীদের ভুল দেখলেও,আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দেশের মুসলিম ভোট নিজেদের পালে টানতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অপমানকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস । কংগ্রেস ফের একবার নিজের স্বার্থের জন্য দেশের সম্মানকে জলাঞ্জলি দিল বলে মনে করছে অনেকে ।।