এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাটনা,২৯ আগস্ট : বিহারের দারভাঙ্গায় রাহুল গান্ধীর ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’-তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করলেও চুপ ছিল রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা বঢড়া, তেজস্বী যাদব সহ ইন্ডি জোটের অন্যান্য নেতৃত্ব । অবশেষে অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা মোহাম্মদ নৌশাদকে গ্রেপ্তার করেছে বিহার পুলিশ । ওই অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ নৌশাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ‘মোদী মাদারচ$%’-এর মত অশালীন ভাষা প্রয়োগ করেছিল । গালাগালি দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর মাকেও ।
শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ নৌশাদ গ্রেপ্তার হওয়ায় বিহার পুলিশকে সাধুবাদ জানালেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি অভিযোগের দুটি ছবি পোস্ট করে এক্সে লিখেছেন, ‘বিহারের দ্বারভাঙ্গায় ইন্ডি জোটের ভোটার অধিকার যাত্রায় প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে কংগ্রেস নেতা মহম্মদ রিজভি সম্মানীয় নরেন্দ্র মোদীজি কে ন্যক্কারজনক ভাবে অত্যন্ত অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন, শুধু তাই নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বর্গীয়া মা’কেও অত্যন্ত অশালীন ভাবে আক্রমণ করেছেন। মঞ্চে সেই সময় রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা বঢড়া, তেজস্বী যাদব সহ ইন্ডি জোটের অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। তারা এই অশালীন আক্রমণের প্রতিবাদটুকুও করেন নি। আমি এই ন্যক্কারজনক অশালীন আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছি। কংগ্রেস নেতা মহম্মদ রিজভি কে বিহার পুলিশ গ্রেফতার করেছে, আমি এর জন্য বিহার পুলিশ কে সাধুবাদ জানাই এবং মহম্মদ রিজভির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
এদিকে ঘটনার একদিন পর, বিকাশশীল পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুকেশ সাহনি ভিডিওটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন যে এই ভিডিওটি ভুয়া হতে পারে। মুকেশ সাহনি আরও দাবি করেছেন যে এই স্লোগানগুলি বিজেপি কর্মীরা তুলে থাকতে পারে।
এএনআই-এর সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মুকেশ সাহনি বলেন, “আমি এটি সম্পর্কে শুনেছি। কে জানে ভিডিওটি আসল না ভুয়া, নাকি বিজেপি কর্মীরা মঞ্চে উঠে এই সব বলেছে?” তবে, তিনি বলেন যে যদি এটি ঘটে থাকে তবে এটি ‘ভুল’। তিনি আরও বলেন যে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’-এর সাথে তার দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
প্রধানমন্ত্রী ও তার মায়ের উদ্দেশ্যে অশালীন ভাষা প্রয়োগের বিষয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজক এজন্য ক্ষমা চেয়েছে । তারা দাবি করেছে,এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছেমহম্মদ রিজভিকে মঞ্চে উপস্থিত লোকজন থাপ্পড় মেরেছিলেন এবং তার কাছ থেকে মাইক্রোফোনটি তাৎক্ষণিকভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে অসুস্থ। ওই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রিজভি ওরফে রাজা, সিংহওয়াড়ার বাসিন্দা এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’।

