এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৬ নভেম্বর : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে বারবার নিজেকে উপহাসের পাত্র করে তুলছেন কংগ্রেসের “যুবরাজ” রাহুল গাঁধী । মোদীর উদ্দেশ্যে “হাইড্রোজেন বোমা” ফাটাতে গিয়ে তিনি এমন একটা উদ্ভট দাবি করেছেন যাতে শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও লোকে হাসাহাসি করছে । যেকারণে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি তুলেছেন “দেশ রাহুল গাঁধীকে অফিসিয়ালি পাগল ঘোষণা করুক” ।
আসলে, বিহার ভোটের একদিন আগে ‘ভোট চুরি’-র অভিযোগ তোলার সময় রাহুল গাঁধী দাবি করেন, ভোটার তালিকায় একই ভোটারের ছবি আলাদা আলাদা নামে বিভিন্ন বুথে রয়েছে। এক মহিলার ছবি তুলে ধরে তিনি দাবি করেন, হরিয়ানার ভোটার তালিকায় একাধিক ভোটারের সচিত্র পরিচয়পত্রে সেই ছবি ব্যবহার হয়েছে। কখনও ‘সীমা’ কখনও ‘সরস্বতী’র নামে ব্যবহার করা হয়েছে এই ছবি। রাহুলের দাবি, ওই ছবি একজন ব্রাজিলিয়ান মডেলের। যা ‘আনস্প্ল্যাশ’ নামক ওয়েবসাইট ‘ফ্রি টু ডাউনলোড’ সেকশনে রয়েছে। অর্থাৎ, যে কেউ ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।ওই মডেলের ছবি দেওয়া একাধিক ভোটার কার্ডও সাংবাদিকদের সামনে বুধবার তুলে ধরেন রাহুল। কিন্তু তাঁরা সবাই ভুয়ো ভোটার? রাহুল গান্ধী সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছিলেন, ওই ব্রাজিলিয়ান মডেলের ছবি একাধিক সচিত্র পরিচয়পত্রে রয়েছে। দু’টি বুথ মিলিয়ে প্রায় ২২৩টি সচিত্র পরিচয় পত্রে রয়েছে ওই একই ছবি। তার অভিযোগ, ১০টি বুথে বিভিন্ন নামে ভোট দিয়েছেন এই মহিলা। রাহুল বলেন, ‘হরিয়ানায় কোনও ভোটই হয়নি। শুধু ভোট চুরি হয়েছে। কমিশন এবং বিজেপি হাত মিলিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।’
যদিও খোঁজ নিতেই প্রকাশ হলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।হরিয়ানার বাসিন্দা পিঙ্কি জুগিন্দর কৌশিকের নামের পাশে ছিল ওই ব্রাজিলিয়ান মডেলের ছবি। ইন্ডিয়া টুডে-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, হরিয়ানার বাসিন্দা ওই মহিলা রাহুল গান্ধীর দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, কোনও ভোট চুরি হয়নি। তিনিও ভুয়ো ভোটারও নন। শেষ নির্বাচনে তিনি নিজেই নিজের ভোট দিয়েছেন।
এদিকে লারিসা নেরি নামে যে ব্রাজিলিয়ান মডেলের কথা রাহুল বলেছিলেন, সেই মডেল একটা ভিডিও বার্তায় হাসতে হাসতে বলেছেন, “প্রতিদ্বন্দ্বীকে প্রতারিত করার জন্য আমার ছবি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে ।’ তিনি ভিডিওতে বলেছেন,’বন্ধুরা, ওরা আমার একটা পুরনো ছবি ব্যবহার করছে—আমার ছবিটা পুরনো, ঠিক আছে? ছবিটা যখন আমি তুলেছিলাম তখন আমি ছোট ছিলাম, আমার বয়স প্রায় ২০-১৮ বছর। ওরা আমার সেই ছবি ব্যবহার করছে… আমি জানি না এটা কোন নির্বাচন, কি ভোট । আর… ভারতে! ওরা আমাকে ভারতীয় বলে প্রচার করছে অন্যদের সাথে প্রতারণা করার জন্য। দেখো কত পাগল! এটা কোন ধরনের পাগলামি, আমরা কোন জগতে বাস করছি ?
তিনি আরও বলেছেন,তারপর একজন প্রতিবেদক আমাকে ফোন করে এই বিষয়ে জানতে চাইলেন, আমার কর্মক্ষেত্রের সেলুনে ফোন করলেন, সাক্ষাৎকারের জন্য আমার সাথে কথা বলতে চাইলেন। আমি কোনও উত্তর দিলাম না, আমি টাটাকে আমার নম্বর দিতে নিষেধ করলাম। লোকটি আমার ইনস্টাগ্রাম খুঁজে পেল, ইনস্টাগ্রামে আমাকে মেসেজ করল। এখন অন্য একজন, যার এই বিষয়ের সাথে আমার কোনও সম্পর্ক নেই, আমার অন্য শহরের এক বন্ধু, আমাকে একটি ছবি পাঠালো। আমি এখানে তোমাদের দেখার জন্য এটি নিচে রাখছি। এখানে।তোমরা বিশ্বাস করবে না। ওহ, বন্ধুরা!’
এদিকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, ‘রাহুল গাঁধী একটা আস্ত পাগল । ওর কথা বলবেন না । মুখে যা আসে তাই বলে । এখন যদি পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ হয় তাহলে সেনাতেও ১০% আর ২০% করবে ? সেনা হবে শক্তিশালী । কিন্তু রাহুল গান্ধী বলছেন যে সেনাতেও দশ শতাংশ অথবা কুড়ি শতাংশ করতে হবে। তাই আমি চাই যে দেশ রাহুল গান্ধীকে অফিসিয়ালি পাগল ঘোষণা করুক ।’।

