দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৯ আগস্ট : চন্দ্রযান ৩ মিশনে অংশ পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার মুরাতিপুর গ্রামের বাসিন্দা ডঃ অভিষেক সাহাকে সংবর্ধনা দেওয়া হল । আজ মঙ্গলবার ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কক্ষে অভিষেকবাবুর হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হয় ।
বাঁকুড়া চাতরা রামাই পণ্ডিত মহাবিদ্যালয়ের ভুগোল বিভাগের প্রধান অভিষেকবাবু মূলত চাঁদের মাটিতে কি কি খনিজ পদার্থ এবং রাসায়নিক উপাদান রয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন । চন্দ্রযান-৩ মিশন সফল হওয়ার পর বাবা মায়ের সঙ্গে সদ্য গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন তিনি । এদিকে এই খবর পেয়ে অভিষেকবাবুকে সংবর্ধনা দিতে উদ্যোগী হন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী ।
এদিন বিধায়ক,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রূপালী সাহা, ভাতারের বিডিও অরুন কুমার বিশ্বাস, ওসি অরুন কুমার সোমসহ আরও অনেকে মিলে অভিষেকবাবুকে সম্বর্ধনা জানান । অভিষেক সাহা বলেন,’চন্দ্রযান ৩ মিশনের সাফল্যে বিশ্বের দরবারে ভারতের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে । এটা আমাদের সকলের কাছে গর্বের ।’ পাশাপাশি এদিন তাঁকে সংবর্ধনা জানানোয় তিনি সকলকে কৃতজ্ঞতা জানান । বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী ভাতারের কৃতি সন্তান ডঃ অভিষেক সাহার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন,’অভিষেক সাহা আমাদের দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন । ভাতারবাসী হিসাবে আমরা গর্বিত । ভাতারের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উনি দৃষ্টান্তের সৃষ্টি করেছেন ।’
এর আগে অভিষেকবাবু জানিয়েছিলেন যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে তিনটি দুস্পাপ্য মৌলের অস্তিস্বের সন্ধান মিলেছে । তার মধ্যে একটি মৌল পৃথিবীতে একপ্রকার পাওয়াই যায় না বললে চলে । তবে মৌল গুলির নাম জানাননি তিনি । এদিকে সোমবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা(ইসরো) জানিয়েছিল যে চন্দ্রযান-৩ এর রোভার প্রজ্ঞান রবিবার(২৭ আগস্ট) তিন মিটার রাস্তা যাওয়ার পর চার মিটার ব্যাসার্ধের একটি গর্ত (পিট)-এর সামনে চলে এসেছিল । কিন্তু নিজেই তার গতিপথ পরিবর্তন করে প্রজ্ঞান । এখন নিরাপদে একটি নতুন পথে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে প্রজ্ঞান ।।