এইদিন ওয়েবডেস্ক,শিলিগুড়ি,১১ জানুয়ারী : মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের সাদরে আশ্রয় দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তিনি বলেছিলেন,’আমরা দু’বেলা দু’দুটো খেতে পেলে রোহিঙ্গা শরণার্থীরাও পাবে’ । কিন্তু সেই রোহিঙ্গারাই সন্ত্রাসবাদ ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার কারনে হাসিনার মাথাব্যথার কারণ হয়ে যায় । রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বহু চেষ্টা করেছিলেন তিনি । কিন্তু পারেননি । বর্তমানে বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় শেখ হাসিনা নেই । তার জায়গা দখল করেছে বিভিন্ন ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি । আর তারা প্রতিনিয়ত ভারতের নাশকতার ছক কষছে । সেই উদ্দেশ্যে তারা উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে ভারপ্লতে দেদার ঢুকিয়ে দিচ্ছে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের । সাম্প্রতিক সময়ে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় ব্যাপক হারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের ভিড় বেড়েছে । মাটিগাড়ার নদীর চরের জমি কিনে রীতিমতো বসতি গড়ে ফেলেছে তারা । এমনটাই দাবি করছেন এলাকার বাসিন্দারা । মাটিগাড়ার একাধিক এলাকায় রোহিঙ্গারা ঘাঁটি গাড়ছে বলেও অভিযোগ এসেছে গোয়েন্দাদের কাছেও । ফলে ব্যাপক উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী ।
উত্তরবঙ্গ সংবাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী,প্রশাসনের নাকের ডগায় বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে নদীর চর বিক্রি করছে অসাধু চক্র । আর এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মাটিগাড়ায় নদীর চর দখল করে রেখে বিক্রির কারবার চালিয়ে যাচ্ছে । আর চক্রটি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থাকায় প্রশাসনও মুখ ঘুরিয়ে আছে বলে অভিযোগ উঠছে ।
মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন উত্তরবঙ্গ সংবাদকে বলছেন,’মুখ্যমন্ত্রী নিজেই রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানাচ্ছেন। শাসকদলের নেতাদেরই একাংশের মদতে বালাসনের চর দখল করে বিক্রি করা, বাইরের লোক এনে বসানো, জাল নথিপত্র তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে ।’ অন্যদিকে তৃণমূলের মাটিগাড়া অঞ্চল সভাপতি ব্রজকান্ত বর্মনের দাবি, ‘এক শ্রেণীর সুবিধাবাদীরা এই সমস্ত অবৈধ কারবার করে, আর নাম হয় তৃণমূলের ।’ তাদের দল এতে জড়িত নয় বলে তিনি দাবি করেছেন ।
তবে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি যাই দাবি করুন না কেন মাটিগাড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তুলসীনগর, শিমুলতলা, লেনিন কলোনি, টাকলুবস্তি সহ গোটা নদীর চরটাই দখল হয়ে গিয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে । বালাসন সেতুর দক্ষিণে লেনিন কলোনিতে বেশ কিছু পরিবার বাঁশ, পলিথিন দিয়ে ছাউনি বানিয়ে বসবাস করছে। একা বালাসনের চরে ৪০টির মতো অস্থায়ী বসতি গড়ে উঠেছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে । আর এই বেআইনি কর্মকাণ্ড তৃণমূল নেতাদের মদতেই হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । যদিও স্থানীয় বিডিও বিশ্বজিৎ দাস উত্তরবঙ্গ সংবাদের কাছে জানিয়েছেন যে বিষয়টি তার জানা নেই ।।