ভগবান, তোমার কারখানার কারিগররা মোটেও ভালো নয়
সবগুলো কে ছাঁটাই করো, ওঁদের জন্যই তোমার রেপুটেশনের হচ্ছে ভালোই ক্ষয়।
যদি বলো, কেনো?
তোমার কারিগররা কেমন ফাঁকিবাজ একটু মন দিয়ে শোনো।
শিশু তো ওঁরাই বানাচ্ছে, যদি মন দিয়েই বানাতো।
তাহলে জন্মানোর সাথে সাথেই পেটের ব্যামো, হার্টের ব্যামো, মাথার ব্যামো এসব কী আর হতো?
এবার শিশুটি কে নিয়ে বাড়ির লোকের বিভিন্ন সার্ভিস সেন্টারে ছোটাছুটি
আরে আমি হাসপাতালের কথা বলছি
ওটাই তো অসহায় বাবা মায়ের আশা-ভরসার একমাত্র খুঁটি।
আবার কখনও কখনও মায়ের কলকব্জার রাখছে ঘাটতি
শিশু জন্ম দেবার সাথে সাথেই মায়ের জীবনের ঘটছে ইতি।
সেই শিশুটি এই প্রতিকূল জগতে হলো মাতৃহারা
একবার ভেবে দেখো ফাঁকিবাজ গুলো মানুষ বানাবার কারবারে কতখানি ছন্নছাড়া।
সুগার, প্রেসার, ক্যান্সার, আরও ভিন্ন কত প্রোডাক্ট, ওই ফাঁকিবাজ গুলোরই সৃষ্টি
দুনিয়াটা কত সুন্দর হতো,
যদি তুমি কারখানার উপর একটু দিতে দৃষ্টি।
আমার মনে হচ্ছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর সাথে ওঁদের সেটিং ভীষন
তোমার অগোচরেই ফাঁকিবাজগুলোর পকেটে ঢুকছে মোটা টাকার কমিশন।
ফাঁকিবাজগুলো মানুষ বানানোর সময় যদি এক্সপায়ারি ডেটটা সাঁটিয়ে দিতো
অন্ততপক্ষে মানুষগুলো মৃত্যুর আগে নিজের দায়িত্ব গোছানোর একটু সুযোগ পেতো।
একটা নিয়ম করো, এক্সপায়ারি ডেটের আগে যখনই কেউ যাবে মারা
সেই ফাঁকিবাজ কারিগরেরে উপর নেমে আসবে কঠিন শাস্তির ধারা।
ভগবান, ফাঁকিবাজগুলোকে ছাঁটাই করে নিয়োগ করো দায়িত্ববান দক্ষ কর্মচারী
নইলে ভাবছে সবাই সমস্ত কিছুর অন্তরালে তুমিই মূল মুখোশধারী।।