এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,১৪ এপ্রিল : বাঁকুড়ার জেলাশাসকের বিরুদ্ধে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ তুললেন খোদ শাসকদলের নেতারা । বাঁকুড়া জেলা পরিষদে আয়োজিত সভার একটি ভিডিও ভাইর্যাল হয়েছে গনমাধ্যমে । সেই ভিডিওতে দেখা গেছে জেলা শাসকের দীর্ঘসূত্রিতার কারনে জেলার উন্নয়ন মূলক কাজে পিছিয়ে পড়ার মত গুরুতর অভিযোগ তুলছেন খোদ শাসকদলের নেতাদের । দিন কয়েক আগেই বাঁকুড়ার জেলা শাসকের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের অভিযোগ তুলে লিফলেট পড়েছিল । এবার বাঁকুড়া জেলা পরিষদের এক বৈঠকের ভাইরাল ভিডিওতে সেই জেলা শাসকের বিরুদ্ধেই উঠল আরও গুরুতর অভিযোগ ওঠায় শোড়গোল পড়ে গেছে জেলা জুড়ে ।
প্রসঙ্গত,বুধবার বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের গতিপ্রকৃতি ও আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে আলাপ আলোচনার জন্য একটি বৈঠক করেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্যরা । সেই বৈঠকের বিশেষ মুহুর্তের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইর্যাল হয়েছে বলে জানা গেছে । ভিডিওতে দেখা গেছে, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের মেন্টর তথা তালডাংরার বিধায়ক অরুপ চক্রবর্তী ও সহ সভাধিপতি শুভাশিস বটব্যাল জেলার উন্নয়নমূলক কাজে জেলা শাসকের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করছেন । সহ সভাধিপতিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘জেলার অবস্থা খুব খারাপ। যে কোনো প্রকল্পের কাজের ক্ষেত্রে জেলা শাসকের কাছে ফাইল পাঠালে তা তিন চার মাস পড়ে থাকছে ৷’জেলা পরিষদের মেন্টর তথা তালডাংরার বিধায়ক অরুপ চক্রবর্তীকে বলেন,’সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন । এই পাঁচ বছরে জেলা পরিষদ কী কাজ করল তার কী উত্তর দেওয়া হবে ?’
দেখুন ভিডিও :👇
এদিকে জেলা পরিষদের বিশেষ বৈঠকের এই ভিডিও ভাইরাল হতেই চরম অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস । এর পিছনে বিরোধীদলে চক্রান্ত আছে বলে দাবি করেছেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু । তবে জেলা শাসকের দীর্ঘসূত্রিতা কথা মেনে নিয়েছেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের মেন্টর অরুপ চক্রবর্তী । তিনি বলেন, ‘জেলা শাসকের ব্যস্ততার কারনেই হয়তো এই ঘটনা ঘটেছে ।’ পাশাপাশি তিনি জানান, উন্নয়নের কাজে গতি আনতে আগামী দিনে জেলা শাসকের কাছে ফাইল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
এদিকে বাঁকুড়ার জেলাশাসকের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা । তিনি বলেন, ‘জেলা শাসক এই সব বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জড়িত। তা না হলে কিসের স্বার্থে তিনি বিধায়কদের নিয়ে আলোচনা করছেন না । প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করছেন না । বিধায়ক ল্যাডের টাকার জন্য আমরা রিক্যুইজিশন জমা করলে তা চেপে চেপে ছাড়া হচ্ছে৷ ফলে উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত হচ্ছে৷’পাশাপাশি তিনি অভিযোগ তোলেন, ‘কেন্দ্র সরকারের জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে । তৃণমূল নেতারাই বলেছে একথা । আমাদের কাছেও অনেক প্রমান আছে ।’।