এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,২৬ মে : লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করে গৌড় মালদা স্টেশনের রেক পয়েন্ট থেকে দেদার লরি বোঝাই করে সিমেন্ট সরবরাহ করার অভিযোগ উঠছে স্থানীয় ব্যাবসায়ী মহলের একাংশের বিরুদ্ধে । বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূলের ইংরেজবাজারের টাউন সভাপতি তথা প্রাক্তন চেয়ারম্যান নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি । লকডাউন পরিস্থিতিতে ওই রেক পয়েন্ট থেকে কেন শুধুমাত্র সিমেন্ট বোঝাই লরিই চলাচল করছে এনিয়ে প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি । প্রশাসন পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানা গেছে।
মালদা টাউন স্টেশন সংলগ্ন রেক পয়েন্ট থেকেই মূলত বিভিন্ন ধরনের পণ্য সামগ্রী লরি বোঝাই করে জেলা তথা জেলার বাইরের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ হয়ে থাকে । কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতিতে আপাতত ওই এলাকায় রেক পয়েন্ট বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই সুযোগেই কোভিড বিধি লংঘন করে ইংরেজবাজার থানার সুস্থানি মোড় সংলগ্ন গৌড় মালদা স্টেশনের রেক পয়েন্টে মালগাড়ি থেকেই শুধুমাত্র সিমেন্ট লোডিং করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। লরিতে সিমেন্ট লোড হওয়ার পর সেগুলি শহরের বিভিন্ন গোডাউনে চলে যাচ্ছে ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ী এলাকায় সিমেন্ট বোঝাই একটি লরি আটক করে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা, লরি মালিকপক্ষের একাংশ ও ব্যবসায়ীরা । তখন লরি চালক ও লরির মালিক সিমেন্ট সরবরাহ করার অনুমতিপত্র দেখান। ওই অনুমতিপত্রে মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদকের স্বাক্ষর ছিল বলে খবর ৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জেলার ব্যাবসায়ী মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় ।
তাঁদের অভিযোগ, লকডাউনের সময় সমস্ত ব্যাবসাদারেরা নিজেদের ব্যবসা বন্ধ রেখেছেন । কিন্তু ব্যবসায়ীদের কয়েকজন বড় মাথা লকডাউনের বিধি ভেঙে নিজেদের ব্যাবসা দেদার চালিয়ে যাচ্ছেন । লকডাউনের মধ্যে সিমেন্ট সরবরাহ করার অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের অনুমতিপত্র ব্যবহার করে কেউ কিভাবে ব্যবসা করতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষুব্ধ ব্যাবসায়ীরা।
এই বিষয়ে নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি বলেন , ‘লকডাউনের মধ্যে মালদা টাউন স্টেশনের রেক পয়েন্টের লরি চলাচল করছিল । ওটা আমার এলাকা ছিল বলে রেলের মার্চেন্ট কমিটিকে বলে বন্ধ করে দিয়েছি । আর এই সুযোগেই এখন সুস্থানি মোড় সংলগ্ন গৌড় মালদা স্টেশনে রেক পয়েন্ট লাগিয়েই সেখানকার মালগাড়ি থেকেই লরিতে সিমেন্ট বোঝাই করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানি করা হচ্ছে । এটা মেনে নেওয়া যায় না ।’
যদিও মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে কাউকে কোন রকম অনুমতি দেওয়া হয়নি । এখন কে কোথায় কী ধরনের সামগ্রী সরবরাহ করছে তা বলা সম্ভব নয় ।।