এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,২৭ আগস্ট : বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ইসলামি কট্টরপন্থী মানসিকতা পাকিস্তানকে পর্যন্ত টেক্কা দেয় । নিত্যদিন দু’দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার হয় হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ । এই বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তথা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের । তিনি বলেছেন, সাম্প্রদায়িকতা এখনো আমাদের স্বাধীন দেশে অগ্রগতির পথে ও বিকাশের ধারায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে । সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ সমূলে উৎপাটন করাই হবে আমাদের অঙ্গীকার । বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পরে সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই অঙ্গীকার করেন ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় কবির এই দিনটিতে আমাদের আজকে এই অঙ্গীকার করতে হবে; কারণ জাতীয় কবির সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কবিতায়-গানে চেতনার যে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন—সাম্প্রদায়িকতা এখনো আমাদের এই স্বাধীন দেশে অগ্রগতির পথে, স্বাধীন দেশে বিকাশের ধারায় অন্তরায় হয়ে আছে ।’ তিনি বলেন,’কাজেই আজকের দিনে আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটিত করব, এই শপথ করি এবং যারা সত্যিকারের বাঙালি তাদের কাছেও আমরা এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।’
বাংলাদেশের সাংবাদিকদের মধ্যে ভারত বিদ্বেষী মানসিকতা লক্ষ্য করা যায় এদিন । সাংবাদিকেরা মন্ত্রী প্রশ্ন করেন,’ভারতের বিজেপি এবং আরএসএস নজরুলের সৃষ্টি সম্ভার স্বতন্ত্র ভাষায় প্রকাশ করে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস নিয়েছে। সেখানে তাকে একজন সাম্প্রদায়িক কবি হিসেবে চিহ্নিত করার প্রয়াস দেখা যাচ্ছে । সেখানে কি কিছু করার আছে ? এই প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আমরা বাইরে যা দেখছি, সেটা নিয়েই ভাববো। ভেতরের এই গূঢ় রহস্য সেটার উদঘাটন আমাদের দায়িত্ব নয়। কে কী করে, যেটা দৃশ্যমান—সেটা নিয়ে আমরা ভাববো। সেখানে গূঢ় কোনো রহস্য আছে কি না সেটা আমাদের জানার দরকার নেই।’।