এইদিন ওয়েবডেস্ক,মিরাট,০৭ মার্চ : হোলি উদযাপনের আগেই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল উত্তরপ্রদেশের মিরাটের ব্রহ্মপুরী থানার পুরওয়া ইলাহি বক্স এলাকা । সচিন গুপ্তা (@sachingupta787) নামে এক টুইটার ইউজার্স রবিবার রাতে একটি ভিডিও সহ এই হিংসার ঘটনার কথা শেয়ার করেছেন । তিনি লিখেছেন,’মিরাটে হোলির জন্য কিছু লোক চাঁদা সংগ্রহ করছিলেন। সেই নিয়ে অন্য সম্প্রদায়ের লোকজন আপত্তিকর মন্তব্য করেন । বিবাদ বেড়ে যায় এবং পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে। দাঁড়িয়ে থাকা অটোর উইন্ডশিল্ড ভেঙে গেছে । অনেক থানার ফোর্স ঘটনাস্থলে রয়েছে ।’ জানা গেছে,মুসলমানরা হোলিকা পোড়ানোর প্রতীক, হোলিকা দহনের জন্য আচারিক কাঠের কাঠামোকে বিদ্রুপ করে এবং অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা সংগ্রহকে তারা ভিক্ষার সাথে তুলনা করে । আর এরপরেই চাঁদা সংগ্রহ করতে যাওয়া হিন্দুরা প্রতিবাদ করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । দু’পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন হিন্দু যুবক আহত হয় বলে খবর । আহতরা হামলা চালানো এবং হোলি উদযাপন নষ্ট করার জন্য মুসলিম লোকজনদের দায়ী করেছে।
যদিও এই বিষয়টিতে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোন এড়িয়ে গেছে মিরাট পুলিশ । পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,’ব্রহ্মপুরী থানার অধীনে বিবাদ ও মারামারির ঘটনা সম্পর্কে। ০৫/০৩/২০২৩ তারিখে ব্রহ্মপুরী থানার অন্তর্গত একটি এলাকায় মদের নেশায় দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হয়। হোলিকা রাখার ব্যাপারে কোনো বিবাদ হয়নি, বা হোলিকার কোনো অপমানও হয়নি। হোলিকা একদম ঠিক আছে। কেউ গুরুতর আহত হয়নি । পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে ।’
অর্গানাইজ উইকলির প্রতিবেদন অনুযায়ী,ঘটনার দিন স্থানীয় বাসিন্দা অমিত গুপ্ত, সোনু প্রজাপতি এবং মুল্লু চন্দ মিলে হোলি উদযাপনের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতে বেড়িয়েছিলেন । তখন স্থানীয় কাউন্সিলর শাহজাদ মেওয়াতি, তার ভাই ভূরা এবং দুই ছেলে ইন্তেজার এবং সিফু সেখানে উপস্থিত হয় এবং চাঁদা সংগ্রহকারী হিন্দুদের অপমানজনক কথাবার্তা বলে । এমনকি চাঁদা সংগ্রহকারী হিন্দুদের তারা ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা বলে উপহাস করে বলে অভিযোগ । তারপর এনিয়ে বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় । একে অপরের দিকে পাথর ও কাঁচের বোতল ছুড়ে মারা হয় । হিন্দুদের অভিযোগ করেছে, শেহজাদ এবং তার সহযোগীরা হোলি উদযাপনের জন্য হোলিকা দহন কাঠামোয় লাথি মেরেছিল । যদিও অন্যদিক থেকে কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি ।।