এইদিন ওয়েবডেস্ক,কুমিল্লা,১৩ জুন : বাংলাদেশের মাদ্রাসায় ফের ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে । এবারে কুমিল্লার দেবীদ্বারে ইক্বরানগরী ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার পঞ্চম(১৩) ও সপ্তম শ্রেণীর(১৪)দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার পরিচালক তথা প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে । পুলিশ ধর্ষক শিক্ষককে গ্রেফতার করে আদালতে তুললে তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয় ।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে,নির্যাতিতা দুই ছাত্রী মাদ্রাসার হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত । প্রথম ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার (৮ জুন ২০২৩) রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ। ওইদিন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে ফোন এসেছে বলে ডেকে মাদ্রাসার নিচেতলার একটা ক্লাস রুমে নিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করে হাবিবুর রহমান । ঘটনার কথা প্রকাশ করলে মেয়েটিকে সে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেখায় ।
পরের দিন শুক্রবার(৯ জুন ২০২৩) দ্বিতীয় ছাত্রীকে ধর্ষণ করে হাবিবুর । পঞ্চম শ্রেণীর ওই মেয়েটিকে বলা হয় তার পরিবারের এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে, তাই তাকে বাড়ি যেতে হবে । হোস্টেলের দায়িত্বে থাকা হালিমা নামে এক মহিলাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে তার বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য ।
কিন্তু হালিমা পোশাক বদল করতে গেলে হাবিবুর রহমান ছাত্রীটির ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে । এদিকে সেই সময় সেখানে চলে আসে হালিমা । তখন ধর্ষক হাবিবুর দৌড়ে পালিয়ে যায় । পরের দিন সকালে নির্যাতিতা কিশোরী মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে আসে এবং ঘটনার কথা খুলে বলে । শনিবার (১০ জুন ২০২৩) বিকেলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীর বাবা দেবীদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করে । পুলিশ ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে ইক্বরানগরীর বাড়ি থেকে হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে । পরে পুলিশ জানতে পারে শুধু পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীই নয়, সপ্তম শ্রেনীর এক ছাত্রীকেও ধর্ষণ করেছে হাবিবুর ।
ধর্ষককে রবিবার সকাল ১১ টায় কুমিল্লার ৪ নম্বর আমলী আদালতে তোলা হয় । বিকেল ৩ টায় বিচারক শারমিন রিমা তাকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন । দুই নির্যাতিতা নাবালিকাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে হাজির করা হয় । বিচারক ২২ ধারায় তাদের জবানবন্ধী রেকর্ড করেন । জানা গেছে,
অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান দেবীদ্বার পৌরসভা গুনাইঘর ইক্বরানগরী এলাকার বাসিন্দা । তার বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও একাধিক ছেলেমেয়ে ।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী দুই কিশোরী সম্পর্কে বোন ।।

