এইদিন ওয়েবডেস্ক,হেমতাবাদ(উত্তর দিনাজপুর), ০৯ জুলাই : শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছে । হিংসায় এখনো পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে । তার মধ্যে একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চৈনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্তরা গ্ৰামে । ওই গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ বর্মন(২৫) নামে এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের পর বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে । অভিযুক্ত সাদেক আলম নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার । ক্ষিপ্ত জনতা তাকে বেদম পিটিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দেয় ।
মৃত যুবকের দাদা সঞ্জিত বর্মনের অভিযোগ, আমার ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার । বিজেপি করার জন্যই খুন হতে হল আমার ভাইকে ।’ মৃতের স্ত্রী জানান,তাঁর চোখের সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে । মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । পরিবারের আশঙ্কা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে পুলিশ ।
জানা গেছে,মেধাবী ছাত্র ছিলেন প্রসেনজিৎ বর্মন । তিনি হেমতাবাদ এক নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি বিপ্লব বর্মনের ভাগনা । ব্যাঙ্গালুরু থেকে তিনি বিএসসি নার্সিং শেষ করার পর এমএসসি নার্সিংয়ে ভর্তি হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ । শনিবার দুপুরে তিনি যখন সন্তরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তখনই কোনো বিষয় নিয়ে ১৫০ নম্বর বুথের দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ার সাদেক আলমের সঙ্গে তাঁর একপ্রস্থ বচসা হয় । তারপর বাড়ি চলে আসেন প্রসেনজিৎ । বিকেল চারটা নাগাদ প্রসেনজিৎকে বাড়ি থেকে ডেকে আনে সাদেক । তারপর ভোটকেন্দ্রের কিছুটা পাশে নিয়ে গিয়ে সে প্রসেনজিৎকে ব্যাপক মারধর করে তার শরীরে পরপর দুটি বিষাক্ত ইঞ্জেকশন পুশ করে দেয় বলে অভিযোগ । প্রসেনজিতের চিৎকারে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে । কিছু মানুষ প্রসেনজিৎকে তড়িঘড়ি হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় । কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর । এদিকে খুনি সিভিক ভলান্টিয়ার সাদেক আলমকে ধরে বেদম মারধর শুরু করে গ্রামবাসীরা । পরে তাকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় ।
পাশাপাশি নির্বাচন চলাকালিন উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ থানার ধোয়ারাই এলাকায় নারায়ণ সরকার নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ । থেকে দুই কিলোমিটার দূরে পাট খেতের পাশ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে হেমতাবাদ থানার পুলিশ । মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । মৃত ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী ছিলেন । তবে কিভাবে তার মৃত্যু হলো তা স্পষ্ট নয়। গ্রামবাসীদের অনুমান তাকে খুন করা হয়েছে ।।