এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,৩০ আগস্ট : বৃদ্ধা মা, স্ত্রী এবং নাবালক সন্তানকে নিয়ে ছিল ৪ জনের ছোট্ট সংসার । সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করে যেটুকু বেতন পেতেন তাতেই কোনো রকমে সংসার চালাতে হত । কিন্তু সেই স্বল্প বেতনে সংসারের ভার আর কোনো ভাবেই বহন করতে পারছিলেন না ওই যুবক । ভুগছিলেন তীব্র হতাশায় । শেষ পর্যন্ত তিনি বেছে নিলেন আত্মহননের পথ ৷ এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার চাঁচল থানার সদরপুর এলাকায়। মৃত যুবকের নাম মিঠুন সরকার(৩৫) । চাঁচল থানার সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করতেন তিনি । চাঁচল থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে ।
জানা গেছে,মিঠুন সরকার সিভিক ভলান্টিয়ারের স্বল্প বেতনে সংসার চালাতে পারছিলেন না। অনেক ধারদেনায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি । ভালো উপার্জনের আশায় তিনি মাস দুয়েক ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজও করেন। কিন্তু দুই মহিলা ও শিশুর নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি এরপর ফের বাড়ি ফিরে আসেন । পুনরায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজে যোগ দেন । কোনো ভাবেই পরিবারকে মোটামুটি স্বাচ্ছন্দ্যে রাখার মত রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিলেন না মিঠুন সরকার । এদিকে পরিবারের অভাব-অনটন লেগেই ছিল । বাজারে অনেক ধারদেনাও হয়ে যায়৷ এনিয়ে তিনি বেশ কিছুদিন ধরে প্রচন্ড মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন । সেই অবসাদ থেকেই আজ শনিবার ভোরে বাড়িতে শোওয়ার ঘরে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি । এদিকে শিশুসন্তান ও বৃদ্ধা শাশুড়িকে কার্যত পথে বসে গেছেন মৃতের স্ত্রী ।।

