এইদিন ওয়েবডেস্ক,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০৮ সেপ্টেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের তৃণমূল নেতা চঞ্চল বক্সিকে খুনের ঘটনার তদন্তে এল সিআইডি । বুধবার সকাল ১১ টা নাগাদ সিআইডির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি ঘটনাস্থলের ছবিও তোলেন । মাপজোখ করেন। তারপর তাঁরা সোজা দেবশালা গ্রামে নিহত নেতার বাড়ি চলে যান । কথা বলেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের বাবা শ্যামল বক্সির সঙ্গে । জানা গেছে, সি আই ডির তদন্তকারী আধিকারিকরা শ্যামলবাবুর কাছে এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ঘটনার দিনের কথা বিস্তারিত জানতে চান । ঘটনার সময় আততায়ীরা নিজেদের মধ্যে কোন ভাষায় কথা বলছিল সেই বিষয়েও শ্যামলবাবুর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় । তবে শ্যামল বক্সি তাদের জানান ঘটনার সময় আততায়ীরা এসে গুলি করে পালিয়ে যায় । নিজেদের মধ্যে কোনও কথা বলেনি ।
মঙ্গলবার আউশগ্রামের গেরাই গ্রামে জনৈক এক দলীয় নেতার বাড়িতে নিমন্ত্রন রক্ষা করে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন যুব সভাপতি চঞ্চল বক্সি । সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা শ্যামলবাবুও । তাঁরা গেরাই ও দেবশালার মাঝামাঝি এলাকায় আসতেই দুটি বাইকে চড়ে ৪-৫ জনের একটি দল চঞ্চলবাবুকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় । দুটি গুলি বাইকে লাগে । তিনটে গুলি চঞ্চলবাবুর শরীরে লাগে । তাঁকে জামতাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু তার আগেই তাঁর মৃত্যু হয় । বুধবার নিহতের ভাই রাহুল বক্সি আউশগ্রাম থানায় অজ্ঞাতপরিচয় দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে । খুনের ঘটনার পর থেকেই ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত তদন্তভার পুলিশের হাতেই আছে । তবে এদিন সিআইডির একটি দল ঘটনার তদন্তে আসে ।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা । এদিন ফের একই দাবি করেন আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি রামকৃষ্ণ ঘোষ । তিনি বলেন, ‘চঞ্চলের নেতৃত্ব গুনেই দেবশালা এলাকায় বিজেপিকে পিছনে ফেলে ভাল ফল করেছে তৃণমূল । তাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনেই বিজেপি আশ্রিত দুস্কৃতীরা চঞ্চলকে খুন করেছে।’
যদিও রামকৃষ্ণবাবুর এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন খোদ নিহত তৃণমূল নেতার বাবা শ্যামল বক্সি । তিনি বলেন, ‘আমাদের এলাকায় বিজেপি আর কোনও অস্তিত্বই নেই । ৯ মাস ৬ মাস আগে ছিল ।’ তবে তাঁর ছেলে কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে খুন করেছে সেই বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি । দলের হয়ে ভাল কাজ করার জন্য দেবশালা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি হিসাবে চঞ্চলকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন শ্যামলবাবু । তার জেরেই এই খুনের ঘটনা কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা অধিকারিকরা ।।