এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাকিস্তান,০৫ এপ্রিল : পাকিস্তানের শেখুপুরায় মুসলিম বন্ধুর হাতে নির্মমভাবে খুন হলেন এক খ্রিস্টান ব্যক্তি । বছর ৪০ বয়েসের ওই ব্যক্তির নাম আসিফ মসীহ । হত্যার এক মাস পর তার রক্তাক্ত বিকৃত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ দেহ দেখে কার্যত আৎকে ওঠে নিহতের পরিবার পরিজন । কারন ওই ব্যক্তির সারা শরীরে ছিল ধারাল অস্ত্রের কোপ । চোখ ওপড়ানো । ঘাড়ে গভীর ক্ষতস্থান থেকে মাথাটা নিচের দিকে ঝোলা অবস্থায় ছিল । এই ঘটনায় নিহতের ঘনিষ্ঠ মুসলিম বন্ধু রিয়াসাত আলী ওরফে সাবি ডোগারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
পাকিস্তানি খ্রিস্টান ফারাজ পারভেজ এই হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়েছেন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে । তিনি লিখেছেন,আসিফের মা সীমা বিবি জানিয়েছেন যে তার ছেলে এবং সাবি ঘনিষ্ঠ বন্ধু । আসিফ গত ৪ ফেব্রুয়ারী থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় । বহু খোঁজাখুঁজি করেও তার ছেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি । রিয়াসাত আলীকে ছেলের বিষয়ে বারবার জিজ্ঞাসা করেও কোনো উত্তর মেলেনি । পরিবারের উদ্বেগ আরও বেড়ে যায় যখন সীমা বিবি ডোগারের বাবা শঙ্কার কাছে যান, যিনি তাকে তার ছেলের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে পুলিশে রিপোর্ট করার পরামর্শ দেন। এই পরামর্শের পর, পরিবার গত ১৫ ফেব্রুয়ারী শেখুপুরা জেলার হাউজিং সোসাইটি থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি দায়ের ।
তিনি জানিয়েছেন,পুলিশ তদন্তে নেমে রিয়াসাত আলীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে । প্রথমে সে তার বন্ধুর বিষয় কিছুই জানেনা বলে এড়িয়ে যায় । শেষ পর্যন্ত সে খুনের কথা কবুল করে এবং তার বন্ধুর পচাগলা লাশের কাছে নিয়ে যায় পুলিশকে ৷
আয়েশা মিলস মহল্লা রসুল টাউন, নাদিম কোট, শেখুপুরার বাসিন্দা আসিফ মসীহের বাড়িতস রয়েছে তার বৃদ্ধা বিধবা মা, স্ত্রী, তিন মেয়ে এবং দুই ছেলে। এক ছেলে প্রতিবন্ধী। তার মা ও স্ত্রী দুজনেই পরিচারিকার কাজ করেন এবং পরিবারটি একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে। আসিফের পরিবার জানায়, আসিফ ও ডোগার পরিবারের মধ্যে কোনো শত্রুতা ছিল না, যার কারণে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পিছন কারন তাদের অজানা ।
আসিফের ছোট ভাই কাশিফ বলেছেন, আসিফের হত্যার পর তাদের পরিবার চরম সংকটে রয়েছে। আয়ের কোনো স্থিতিশীল উৎস না থাকায় এবং ভাড়া বাড়িতে বসবাস করায় পরিবারটি পথে বসে গেছে । তাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তারা।।