হয়তো কখনো দেখা হবে তোমার সাথে,
পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে।
হতে পারে ইরাবতীর তীরে,
উপল বিছানো পথ ধরে হেঁটে যেতে যেতে
অথবা নালন্দার ভগ্ন স্তূপ ‘পরে।
হয়তো বা নয়।
ঊর্মিলার মতো দীর্ঘ এক যুগ
প্রতি রাতে কুঞ্জ সাজিয়েছি,
তারপর ভোরের শুকতারার মত
একা একাই অশ্রুসজল নয়নে
মুখ লুকিয়েছি আকাশের নীল আঁচলে।
সেদিন ও পূর্ণিমা ছিল,
যশোধরার মত ঘুমন্ত আমাকে রেখে
তুমি বেছেছিলে মহাভিনিষ্ক্রমনের পথ।
কিংশুকের ঠোঁট ছুঁয়ে এক একটা বসন্ত এলে
যেমন ভাবে যশোধরা শুনতে পেতেন
দখিনা বায়ে উদাসী পদধ্বনি,
ঠিক তেমনটি শোনার আশায়
আমি ধীরে ধীরে কান পাতি,
একটা দুটো করে খসে পড়া বিবর্ণ পাতায়।
মন গহিনের এমন ভাবনা হয়তো নির্মোক,
তাকে পথের প্রান্তে ফেলে আমি চলি,
আমি চলতেই থাকি, চলতেই থাকি
আসলে চলাই যে আমার জীবন, জীবনের মূলধন।।