এইদিন ওয়েবডেস্ক,চট্টগ্রাম,০১ ডিসেম্বর : বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদনের শুনানি হবে সোমবার (২ ডিসেম্বর)। আজ রবিবার (১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়া এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । মহম্মদ ইউনুসকে কাজে লাগিয়ে দেশদ্রোহিতার মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়ে দেশ জুড়ে কার্যত নৈরাজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি করে কাতারপন্থী সন্ত্রাসী সংগঠন হিযবুত, জামাত ইসলামি ও বিএনপি । তারপর থেকে অবর্ণনীয় অত্যাচারের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ।
এদিকে, ৪ দিন পর ফের আজ থেকে সচল হল চট্টগ্রাম আদালত । সকাল থেকে বিচারিক কার্যক্রম চলছে সব আদালতে। ইসলামি সন্ত্রাসবাদীদের হাতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নৃশংসভাবে খুন হওয়ার পর আদালত বন্ধ ছিল । হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বুধ ও বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি পালন করেন আইনজীবীরা। একইসঙ্গে পালিত হয় বিভিন্ন কর্মসূচিও।
গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে আদালতে তোলার সময় প্রচুর হিন্দু জমায়ত হয় আদালত চত্বরে৷ সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সশস্ত্র ইসলামি সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে দেয় । আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হিন্দু মনে করে নৃশংসভাবে পিটিয়ে শেষে জবাই করে খুন করে । বিনা অপরাধে বাংলাদেশি সেনা ও পুলিশের হামলার শিকার হতে হয় হিন্দুদের ।
প্রসঙ্গত,চট্টগ্রাম শহরের নিউমার্কেট মোড়ের স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকা অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে হওয়া মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে । এর আগে ২৫ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গত ৩১ অক্টোবর বিএনপির এক জঙ্গি ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত) বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেছিল । এই মামলায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলা অভিযোগ করা হয়, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের নামে চুড়ান্ত অরাজকতার সময় চট্টগ্রাম পর নগরের নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর তথাকথিত বৈষম্যবিরোধী জঙ্গিরা একটি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আদলে একটা পতাকা উত্তোলন করে, যা এখনো সেখানে রয়েছে । ওই পতাকায় চাঁদ তারা দেখা গেছে । সুতরাং পতাকাটি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ছিল না৷ কারত বাংলাদেশি পতাকায় কোনো চাঁদ তারার অস্তিত্ব নেই ।
যাই হোক,ওইদিন চন্দন কুমার ধরসহ ৯ জন হিন্দু ওই পতাকার পাশে ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করেন । এরপর রটিয়ে দেওয়া হয় যে বাংলাদেশের পতাকা খুলে হিন্দু ধর্মের পতাকা লাগিয়ে জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে । বিএনপির এক জঙ্গি ফিরোজ খান সেটা কাজে লাগিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর ছাড়াও আরও ১৯ জন হিন্দুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহীতার মামলা করে । যদিও বাংলাদেশের অনেক মুসলিমের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাদের রাস্তায় জাতীয় পতাকা বিছিয়ে নামাজ পড়তে দেখা গেছে । তবে নামাজ পড়ার জন্য সেটা দেশদ্রোহিতার পর্যায়ে ফেলা হয়নি ।।