এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেইজিং,২০ ডিসেম্বর : বিশ্বব্যাপী কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও শুধুমাত্র চীনেই দ্রত হারে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা । শি জিংপিং সরকার শূন্য কোভিড নীতি ঘোষণা করেছে এবং কঠোর লকডাউন বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল । যদিও পরে তীব্র বিরোধিতার কারনে সরকার তাদের নীতি সংশোধন করে । কিন্তু এরপর থেকেই কোভিড -১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে । মহামারী বিশেষজ্ঞ এরিক ফেইগেল-ডিং এর মতে, কোভিডের কারণে চীনে মৃতের সংখ্যা ১০০,০০০ ছুঁয়েছে । তাঁর দাবি সত্যি প্রমানিত করে চীনের হেনান হাসপাতাল কফিনের স্তূপের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ।
এদিকে চীনের জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী কয়েক মাসে সম্ভবত ৮০ কোটি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে । বেশ কয়েকটি সংস্থা ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে দেড় মিলিয়ন বা ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা যেতে পারে । সম্প্রতি চায়না সিডিসির ডেপুটি ডিরেক্টর জিয়াওফেং লিয়াং সংবাদমাধ্যমে জানান,পরবর্তী ৯০ দিনে চীনের জনসংখ্যার প্রায় ৬০% মানুষ কোভিড সংক্রামিত হতে পারে । হংকং ইউনিভার্সিটির এপিডেমিওলজিস্ট বেন কাউলিং এই ভবিষ্যদ্বাণীর সাথে একমত পোষণ করেছেন । তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত এই ঢেউ খুব দ্রুত আসতে চলেছে । এটাই সবচেয়ে চিন্তার বিষয় । যদি এটি ধীরগতির হয়, তবে চীনের প্রস্তুতির জন্য সময় থাকত। তবে এটি খুন দ্রুত ছড়াচ্ছে । বেইজিং এবং অন্যান্য বড় শহরগুলিতে ইতিমধ্যেই প্রচুর কেস রয়েছে । ভাইরাসটি মহামারী চলাকালীন আগে যে কোনও জায়গায় ছড়িয়ে পড়ার চেয়ে চীনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এটি চীনা জনসংখ্যার মধ্যে বিশেষভাবে সংক্রামক বলে মনে হচ্ছে ।’
কাউলিং বলেছেন,গবেষণায় দেখা গেছে ২০২০ সালের প্রথম দিকে ‘আর’ সংখ্যা প্রায় ২ থেকে ৩ এর মধ্যে ছিল । সেই সময়ে প্রতিটি আক্রান্ত পিছু গড়ে ২ থেকে ৩ জনের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ত । গত শীতকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওমিক্রন বৃদ্ধির সময় এখানে ‘আর’ সংখ্যা প্রায় ১০ বা ১১ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল । চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন যে বর্তমানে চীনে ‘আর’ সংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৬ এর বেশি । এনিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন কাউলিং । তাঁর কথায়,’চীনে ভাইরাসটি খুব বেশি সংক্রমণযোগ্য হয়ে গেছে ।’।