এইদিন ওয়েবডেস্ক,তিব্বত,১৪ জানুয়ারী : দীর্ঘ আট দশক ধরে তিব্বতকে জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে চীন । তারপর থেকে পরিকল্পিতভাবে তিব্বতের শতাব্দী প্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে নির্মূল করতে উঠেপড়ে লেগেছে চীনের তথাকথিত কম্যুনিষ্ট সরকার । এলাকার মানুষের উপর কমিউনিস্ট ভাবধারা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে । সেই উদ্দেশ্যে চীন তিব্বত আক্রমণের পর থেকে তিব্বতি সংস্কৃতি শিক্ষাদানকারীদের মধ্যে জোর করে চীনা বৈশিষ্ট্যগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে একটি রিপোর্টে জানিয়েছে তিব্বত প্রেস ।
তিব্বত প্রেসের মতে, চীন তার নিজস্ব অঞ্চলে আক্রমনাত্মক ভঙ্গি দিয়ে তার বিশ্বব্যাপী উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা প্রচার করছে,যেখানে চীন নিজেকে একজন বিশ্বনেতা হিসেবে দেখিয়েছে ।
রিপোর্টে তিব্বত প্রেস আরও জানিয়েছে,তিব্বতের উপর চীনের মালিকানা বিরোধ কয়েক বছর ধরে তীব্রতর হয়েছে । তা দমন করতে সাধারণ তিব্বতি নাগরিকদের উপর রীতিমতো নিপীড়ন চালাচ্ছে চীন সেনা । চীন লৌহ-শাসন নিয়ন্ত্রণ কৌশল কায়েম করে তিব্বতে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে ।
তিব্বত প্রেস জানিয়েছে যে চীন তিব্বতের শান্তিপূর্ণ মুক্তির জন্য ১৭-দফা চুক্তির ভিত্তিতে তিব্বতের বৈধতা অর্জন করেছে, ওই চুক্তিটি ১৯৫১ সালের ২৩ মে তিব্বতের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য অনুমোদিত নয় এমন একজন ব্যক্তির দ্বারা স্বাক্ষরিত । চুক্তিতে অনুযায়ী, চীন দেশীয় রীতিনীতিতে হস্তক্ষেপ না করে তিব্বতের ঐতিহ্যবাহী সরকার এবং ধর্ম সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । কিন্তু ওই চুক্তিটিও লঙ্ঘন করে যাচ্ছে চীন । নির্বাসিত তিব্বত সরকার বলেছে যে চুক্তিটি বাধ্যতামূলক উপায়ে স্বাক্ষরিত হয়েছিল এবং এটি অবৈধ ।
তিব্বত প্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী,তিব্বত সরকার তিব্বতের জাতিগত গোষ্ঠীগুলিকে তিব্বতে প্রত্যাবর্তনমূলক প্রথা আরোপ করেছে এবং জোরপূর্বক আত্তীকরণের মাধ্যমে ভূখণ্ড থেকে তিব্বতি সংস্কৃতি অপসারণের চেষ্টা করেছে । এছাড়াও, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কয়েক বছর ধরে দালাই লামার উত্তরসূরি ঘোষণা করার চেষ্টা করে আসছে। তবে চীনের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ১৪-তম দালাই লামার উত্তরাধিকার পরিকল্পনা তিব্বতকে চীনের সাথে একীভূত করার জন্য চীনের ষড়যন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।।