এইদিন ওয়েবডেস্ক,কিয়েভ,০৭ মার্চ : যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেনের শিশুরা ট্রমার সম্মুখীন হয়েছে । যার ফলে ভবিষ্যতে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন গবেষকরা । ইউক্রেনের পার্লামেন্ট ফর হিউম্যান রাইটসের কমিশনার লিউডমিলা ডেনিসোভা (Lyudmila Denisova) জানিয়েছেন,ইউক্রেন জুড়ে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের ফলে এযাবৎ ৩৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে । আহত হয়েছে ৭১ জন শিশু । এছাড়া কয়েক ডজন শিশু বেসমেন্ট, মেট্রো স্টেশন এবং অন্যান্য ভূগর্ভস্থ এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রে লুকিয়ে আছে । বহু শিশুদের পরিবারকে আশ্রয় নিতে হয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলিতে । আর এর ফলে ইউক্রেনের শিশুদের মনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে মনোবৈজ্ঞানিক এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা । তাঁরা ওই সমস্ত শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়ার জন্য অবিভাবকের আহ্বান জানিয়েছেন ।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির পেডিয়াট্রিক্সের অধ্যাপক ডঃ পল ওয়াইজ জানিয়েছেন,’ইউক্রেনের শিশুরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে । তাদের জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ । শুধুমাত্র শারীরিক ট্রমাই নয়,পরন্তু মানসিক ট্রমার শিকার হচ্ছে শিশুরা । এর ফলে শিশুদের মনের উপর সুদুরপ্রসারী প্রভাব পড়বে ।’ তিনি জানিয়েছেন,যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলে আগুন, বিস্ফোরণ থেকে ধোঁয়া এবং ছাইয়ের কারনে সেখানকার শিশুদের শ্বাস যন্ত্রের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে । এছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তো রয়েছেন ।
গবেষণায় দেখা গেছে যুদ্ধ অঞ্চলে বসবাসকারী বা পালিয়ে আসা শিশু এবং পরিবারগুলির মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়েছে । হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির সেন্টার অন দ্য ডেভেলপিং চাইল্ডের ডিরেক্টর ডঃ জ্যাক শনকফ বলেন, ‘পরবর্তী কালে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়া,অস্থিরতা,কোন বিষয়ের উপর মনসংযোগের অভাব প্রভৃতিসহ একাধিক লক্ষ্মণ দেখা দিতে পারে শিশুদের ।’ আর শিশুদের এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য যুদ্ধ উত্তর সময়ে শিশুদের বাবা-মাকে খুবই দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডঃ জ্যাক শনকফ ।।