এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০৩ মার্চ : খৎনা করতে গিয়ে ফের শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে। এবারে ইউটিউবে খৎনার টিউটোরিয়াল দেখে এক শিশুর হাত-পা ও মুখ বেঁধে খৎনা করছিল প্রতিবেশী কিশোর । কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই শিশুটির মৃত্যু হয় । বুধবার রাতে বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে । মৃত শিশুর পরিবারের নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হামিম শেখকে (১৭) নামে ঘাতক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । অভিযুক্ত হামিম হিজলা গ্রামের রমজান শেখের ছেলে । খৎনা করতে গিয়ে শিশুটির মৃত্যুর পর সে পার্শ্ববর্তী শিবপুর গ্রামে মামার বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করে । সেখান থেকেই পুলিশ তাকে পাকড়াও করে আনে । পুলিশ তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা রজু করেছে ।
ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে দীর্ঘদিন ধরে হাজাম হওয়ার ইচ্ছে ও সুন্নতে খৎনা করার ইচ্ছা ছিল ঘাতক কিশোর হামিম শেখের । এজন্য সে নিয়মিত ইউটিউবে খৎনার টিউটোরিয়াল দেখত । শেষে সে হাতেকলমে খৎনা করার সিদ্ধান্ত নেয় । শিকার হিসাবে বেছে নেয় প্রতিবেশী দু’বছরের শিশু শিহাবকে ।
বুধবার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিহাবকে ডেকে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায় হামিম। সে শিহাবের হাত-পা ও মুখ বেঁধে সে একটি কাঁচি দিয়ে খৎনা করার চেষ্টা করে । এতে শিহাবের পুরুষাঙ্গ কেটে যায় । প্রচন্ড যন্ত্রণা ও রক্তক্ষরণে শিহাব অচেতন হয়ে পড়লে শৌচাগারের পাশে তাকে ফেলে রেখে চম্পট দেয় হামিম। এদিকে দীর্ঘক্ষণ সেখানে পড়ে থাকার পর অবশেষে শিহাবের মৃত্যু হয় ।
জানা গেছে,ঘটনার পর হামিম বাড়ির বাইরে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে শুরু করে । পরে বেগতিক বুঝে সে তার মামার বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করে । এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর শিশুটিকে না পেয়ে রাতে মাইকিংও করেন স্থানীয়রা। পরে হামিমের ঘর-সংলগ্ন শৌচাগারের পাশ থেকে শিহাবের নিথর দেহ উদ্ধার হয়।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহম্মদ রাসেলুর রহমান জানান, শিশু শিহাব বাড়ির উঠানে খেলা করার সময় খাবারের লোভ দেখিয়ে হামিম তার ঘরে নিয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিকৃত মানসিকতা তৈরি হয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে শিহাবকে খৎনা করে। সেই সময় শিশুটি মারা যায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি ।।