এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১২ জুন : প্রতিবেশী প্রৌঢ়ার লাথিতে মৃত্যু হল ৭ বছরের শিশুর । মৃত শিশুর নাম অভিলাষ ঘোষ । শুক্রবার তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা শিশুটিকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেয় । কিন্তু সন্ধ্যা নাগাদ বর্ধমান নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় শিশুটির । এদিকে ঘটনার পর থেকেই রক্ষা ঘোষ (৫০) নামে ওই অভিযুক্ত প্রৌঢ়া ও তাঁর স্বামী নেপাল ঘোষ এলাকা ছাড়া ।
স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী নদিয়া জেলার কালীগঞ্জ থানার কুটুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা অজয় ঘোষ ও রাখিদেবীর একমাত্র সন্তান অভিলাষ । ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার । ওই দিন পাড়ার সমবয়সী একটি শিশু সঙ্গে খেলা করছিল অভিলাষ । সেই সময় দুই শিশুর মধ্যে খুনসুটি থেকে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় ।
মৃত শিশুর কাকা ভরত ঘোষ বলেন, ‘আমার ভাইপো ও তার বন্ধুর হাতাহাতির মাঝে রনি নামে পাড়ারই বছর বারোর এক কিশোর চলে আসে । রনি এসেই দুজনকে চড়থাপ্পর মারতে শুরু করে । কিছুক্ষন পরেই রনির তদিদিমা রক্ষা ঘোষও চলে আসে । তারপর ওই মহিলা আচমকা অভিলাষকে ফেলে পেটে সজোরে লাথি মারে । অভিলাষ অজ্ঞান হয়ে যায় । এদিকে ওই মহিলাও পালিয়ে যায় ।’ তিনি আরও বলেন, ‘সঙ্গে সঙ্গে আমরা অভিলাষকে নিয়ে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই ৷ সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে পরের দিন সকালে ভাইপোকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । কিন্তু ওইদিন সন্ধ্যায় আমার ভাইপো মারা যায়।’
এদিন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে শিশুর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয় । শিশুটির মর্মান্তিক পরিনতিতে শোকাহত পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীরা । সেই সঙ্গে অভিযুক্ত প্রৌঢ়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম । যদিও শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই ঘটনায় নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে ।।