এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখিমপুর (উত্তরপ্রদেশ),১৫ সেপ্টেম্বর : উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি (Lakhimpur Kheri) জেলায় দুই আদিবাসী কিশোরীকে গনধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ছোটু, জুনায়েদ, সোহেল, হাফিজুল, করিমুদ্দিন এবং আরিফ । ছোটু ছাড়া অভিযুক্তরা সবাই লখিমপুর খেরির লালপুর গ্রামের বাসিন্দা । ধৃতদের বিরুদ্ধে আইপিসির ৩০২,৩৭৬ ধারা এবং পকসো আইন (POCSO) আইনে মামলা রজু করা হয়েছে ।
জানা গেছে,নিহত দুই আদিবাসী কিশোরী সহদরা বোন । বুধবার সন্ধ্যায় লখিমপুর খেরি জেলার নিঘাসন থানার অন্তর্গত লালপুর মাজরা তামোলি পূর্ব গ্রামে একটি গাছের ডাল থেকে দুই নাবালিকা বোনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় । এনিয়ে থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে এফআইআর রজু করে পরিবার । পরে নিহত কিশোরীর পরিবার পরিজন ও গ্রামবাসীরা ধর্ষক খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে গ্রাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে নিঘাসন ক্রসিংয়ে গিয়ে পথ অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । লখিমপুর খেরির পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জীব সুমন পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান । শেষে এসপির আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয় ।
এসপি সঞ্জীব সুমন বলেন,’এই অপরাধের ঘটনায় বিভিন্নভাবে জড়িত মোট ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ ধৃতদের নাম ছোটু, জুনায়েদ, সোহেল, হাফিজুল, করিমুদ্দিন এবং আরিফ । অভিযুক্ত জুনায়েদকে একটি এনকাউন্টারে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল । তার পায়ে গুলি করা হয়েছিল ।’ এসপি জানান,অভিযুক্তদের মধ্যে ছোটু মৃত দুই কিশোরীর বন্ধু ছিল । ছোটুই মেয়ে দুটির সঙ্গে বাকি অভিযুক্তদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল । গতকাল মেয়েগুলোকে খামারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সোহেল ও জুনায়েদ । এরপর সোহেল, হাফিজুল ও জুনায়েদ তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করে । দুই কিশোরীকে খুন করার পর তারা করিমুদ্দিন এবং আরিফকে ডেকে আনে । তারপর বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে মেয়ে দুটির গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয় ।’ তিনি জানান, তিনজন চিকিৎসকের একটি প্যানেল দুই কিশোরীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত পরিচালনা করেছেন ।।