এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাঙ্কের(ছত্তিশগড়),২৮ মে : বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ছত্তিশগড়ের কাঙ্কের (Kanker) জেলার পারলকোট জলাধারে (Paralkot reservoir) পিকনিক করতে গিয়েছিলেন খাদ্য পরিদর্শক (Food inspector) রাজেশ বিশ্বাস (Rajesh Vishwas) । সেই সময় তার এক লাখ টাকা দামের স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২৩ (samsung galaxy S23) স্মার্টফোনটি জলাধারের জলে পড়ে যায় । আর সেই ফোনের জন্য জলাধারের ২১ লক্ষ লিটার জল নিষ্কাশন করা হল ৩ দিন ধরে । ওই সরকারি আধিকারিক তার স্মার্টফোনটি ফিরে পেলে জলাধারের জল নিষ্কাশনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন । জেলা কালেক্টর রাজেশ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করেছেন । পাশাপাশি সেচ দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিককেও কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে যার কাছ থেকে রাজেশ বিশ্বাস জলাধারের জল নিষ্কাশনের মৌখিক অনুমোদন পেয়েছিলেন । অনুমান করা হচ্ছে যে খাদ্য পরিদর্শকের ফোন উদ্ধারের জন্য নষ্ট হওয়া জলে দেড় হাজার একর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হত ।
জানা গেছে,গত ২১ মে কাঙ্কের জেলার পারলকোট জলাধারে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন ছত্তিশগড়ের পংখাজানুরের খাদ্য পরিদর্শক রাজেশ বিশ্বাস । সেই সময় সেলফি তুলতে গিয়ে তার এক লাখি ফোনটি জলাধারের জলে পড়ে যায় । প্রথমে তিনি স্থানীয় কয়েকজন ডুবুরিকে জলে নামিয়ে ফোন খোঁজা করান । কিন্তু জলাধারের অসম ও পাথুরে পৃষ্ঠের কারণে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় । এরপর রাজেশ বিশ্বাস সেচ বিভাগের এসডিওকে ফোন করেন এবং জলাধারের জল নিষ্কাশনের জন্য তার কাছ থেকে মৌখিক অনুমোদন নেন । যার পরে তিনি ৩০ টি ডিজেল পাম্প দিয়ে টানা তিন দিন ধরে জলাধারের জল তোলা করান । জানা গেছে যে অভিযোগের ভিত্তিতে সেচ দফতরের এক আধিকারিক ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পাম্পগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয় । এদিকে জলাধারের জল নিষ্কাশনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতেই রাজেশ বিশ্বাসকে জেলা কালেক্টর সাময়িক সাসপেন্ড করে দেয় ।
যদিও অভিযুক্ত খাদ্য পরিদর্শক রাজেশ বিশ্বাস দাবি করেছেন যে তিনি তার কর্তৃত্বের বাইরে কিছু করেননি কারণ জলাধার থেকে নিষ্কাশিত জল কৃষকদের কোনও কাজে আসেনি । তিনি প্রায় তিন ফুট জল বের করেছিলেন যার পরে তিনি তার ফোন পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিলেন । রাজেশ বিশ্বাস আরও দাবি করেছেন যে তিনি কৃষকদের সুবিধার জন্য জলাধারের নিষ্কাশন করা জল চ্যানেল করে কৃষকদের জমিতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন এবং যাবতীয় খরচ তিনি নিজে বহন করেছেন । এদিকে এডিএম জানিয়েছেন তিনি কালেক্টরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে চান ।।